বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৩৮৬) তারিখঃ—২৭/ ০৮/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-[ বেদযজ্ঞ করে মহাত্মা বিদুরের ন্যায় নির্ভীক, সত্যবাদী
ও নীতিজ্ঞ হও সকলের মঙ্গলের জন্য।]
বেদযজ্ঞের ন্যায় শ্রেষ্ঠ যজ্ঞ আর দ্বিতীয়
নেই। এই যজ্ঞ দ্বারাই মানুষ ন্যায় বিচারক বা ধর্ম –অবতারের পদ অলংকৃত করতে পারেন।
মহাত্মা বিদুর ছিলেন সাক্ষাৎ ধর্মের অবতার। মাণ্ডব্য ঋষির শাপে তিনি শূদ্রের গর্ভে
জন্ম নেন। বিচিত্রবীর্যের দাসীর গর্ভ থেকে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ধৃতরাষ্ট্র ও
পাণ্ডুর তিনি একপ্রকার নিজের ভাই ছিলেন। বিদুর অত্যন্ত বুদ্ধিমান, নীতিজ্ঞ,
ধর্মজ্ঞ, সদাচারী এবং ভগবদভক্ত ছিলেন। এইসব গুণাবলীর জন্য সকলেই তাঁকে অত্যন্ত
সম্মান করতেন। তিনি অত্যন্ত নির্ভীক, সত্যবাদী এবং ধৃতরাষ্ট্রের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি
সর্বদাই তাঁকে উপযুক্ত পরামর্শ দিতেন। দুর্যোধন জন্ম নিয়েই গর্দভের মতো ডাক ছাড়তে
থাকেন এবং দুর্যোধনের জন্মের সময় বহু অমঙ্গলসূচক ঘটনা ঘটে। সেসব দেখে বিদুর রাজা
ধৃতরাষ্ট্রকে বলেন—‘ আপনার এই পুত্র কুলনাশক হবে, তাই একে ত্যাগ করাই শ্রেয়। এ
জীবিত থাকলে আপনাকে অনেক দুঃখ ভোগ করতে হবে। শাস্ত্রের নির্দেশ হল—কুলের জন্য একটি
মানুষকে, গ্রামের জন্য একটি কুলকে, দেশের জন্য একটি গ্রামকে এবং আত্মার জন্য সমগ্র
পৃথিবীকে ত্যাগ করা উচিত’। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র মোহবশতঃ বিদুরের কথা শোনেননি। ফলে
দুর্যোধনের জন্য তাঁকে জীবনভর দুঃখ সইতে হয়েছে এবং জীবিতাস্থাতেই তাঁকে স্বচক্ষে
কুলের বিনাশ দেখতে হয়। মহাত্মাদের হিতকারক বাক্য না শুনলে দুঃখভোগ করতেই হয়। জয়
বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment