বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(৩৫০) তারিখঃ—২২/ ০৭/ ২০১৮ আজকের
আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদযজ্ঞ করেই
জানতে হবে-- সত্য, স্ফুরণ্ চৈতন্য ও ধর্ম কি ও কিভাবে এই গুণ গুলির জাগরণ ঘটে?]
একটা জিনিষ সবাই উপলব্ধি করছে সত্য বস্তুকে
চাওয়া ও পাওয়া। সেই বস্তুর সন্ধান যখন পাওয়া যাবে, কোনো সংস্কার তাকে আটকে রাখতে
পারবে না, স্বাভাবিক মতে সেদিকে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
ভাল জিনিষ পেলে খারাপ জিনিষ কেউ চায় না। তাই প্রকৃত সত্যকে সন্ধান করা,
নিজেকে জানা, প্রতিটি নিজের কার্যকলাপের মধ্যে নিজেকে বিচার করা,-- কেন করছি—কিসের
জন্য করছি—কোন প্রয়োজন আছে আমার—একি সংস্কারে, ভয়ে না ভীতিতে করছি--- না সবায় করছে
বলে করছি—না উপায় নেই বলে করছি—প্রত্যেকটি জিনিষের তত্ত্বকে বুঝতে চেষ্টা – তবেই
সে বস্তুকে জানতে পারবে। সেই সাথে সত্য স্বাভাবিক নিয়মে তোমার অন্তরে জ্ঞান হয়ে
ফুটে উঠবে।
জানার যাবতীয় যা কিছু সবই কস্তুরীর
মত; ডিমের মত সবার মাঝে সুপ্ত রয়েছে বীজ আকারে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মন্ত্র জপ করলে,
নাম কীর্তন করলে সুপ্ত বীজটা জেগে উঠবে। স্মরণে স্মরণে মনের যে আলোড়ন হয় তাতেই
স্ফুরন হয়। স্ফুরন হলেই সমস্ত বিশ্বের যে চাহিদা, যে জানা যে পাওয়া সব মিটে যায়।
তখন সবই জানা ও পাওয়া হয়ে যায়। স্ফুরন ঘটলেই জ্ঞানের বিস্ফোরণ ঘটে মানব অন্তরে।
তখন আর সত্যকে বুঝে নিতে জ্ঞানীর সময় লাগে না।
এই যে সবাই আমরা বাঁচতে চাই, এটা কোন বাঁচার
সাড়া? বাঁচা হলো জ্ঞানের ভিতর বিরাজ করা—সর্ব অবস্থাকে নিজের করে নেওয়া, শুধু
দেহকে পোষণ করাই বাঁচার উদ্দেশ্য নয়। বাঁচা হলো সর্ব অবস্থা হতে নিজেকে আয়ত্ত করা।
সেইখানেই রয়েছে সাধনা, -- সেখানেই জ্ঞানের প্রয়োজন,-- সেখানেই চৈতন্যের বিকাশ।
ধর্মের মূল সুরই হল, ধর্ম মানুষের
অন্তর্নিহিত চৈতন্যকে জাগ্রত করবে, আপন পর ভেদাভেদ নষ্ট করবে এবং এক সংস্কারমুক্ত
পরম সুন্দর সমাজ গঠন করবে। ধর্মে থাকবে এক জাতি, এক সুর। অনন্ত প্রকৃতির এক নীতির
সুরে প্রতিটি জীবকে নিয়ে আসাই ধর্মের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। কোন কিছুর ছোঁয়াতেই এই
ধর্ম নষ্ট হয় না বা লোপ পায় না। ধর্মের গতি অবাধ, অনন্ত ও সর্বত্র।
জয়
বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযানের জয়।
No comments:
Post a Comment