বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৪৮) তারিখঃ-২৪/ ১২/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ—[ গার্হস্থ্য জীবনে থেকেও বেদযজ্ঞ করে আত্মার বিকাশ ঘটিয়ে যোগসাধনায় সিদ্ধি
লাভ করা যায়।]
**আত্মার আত্মীয়তার বিকাশ ঘটানোর জন্য নিজের গৃহই হল
সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান।**
** আমরা কিছুই দিতে চাই না কিন্তু দু হাত ভরে কেবল পেতে
চাই, এটাই হচ্ছে সমস্ত ঝগড়া ও অশান্তির মূল কারণ।**
** আত্মাকে পরমাত্মায় বিলীন করে দেওয়াই হল মানব জীবনের
একমাত্র পরম লক্ষ্য। ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে কেবল সবার কল্যাণের
মনোভাব নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে প্রকৃত আধ্যাত্মিক সাধনা।**
*মনের শ্রেষ্ঠ চিন্তাধারা অল্পসময়েই তৈরি হয়ে যায়।
কিন্তু সেটিই সংস্কারের রূপধারণ করতে প্রচুর সময় নেয়।*
** শরীরের ক্ষিদে মেটানোর জন্য যেমন আহারের প্রয়োজন,
তেমনি মানসিক ক্ষিদে মেটানোর জন্য সৎ শিক্ষারও প্রয়োজন।**
** সুখ, শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধি সবই মানুষের স্বভাবের
ওপর নির্ভর করে। দৃষ্টিভঙ্গী সঠিক কিম্বা ভুল হবার কারণেই প্রেম ও বিদ্বেষের
সৃষ্টি হয়। স্বভাব চরিত্র ভাল হলে পরকেও আপন করা যায়, এই সদগুণটি যার মধ্যে রয়েছে
তাকেই জগতের প্রকৃত বড়লোক বলা চলে।**
** পরিবারে মায়ের স্থানও পিতারই সমতুল্য। এঁদের মধ্যে
কাউকেই ছোট বা বড় বলা যায় না। পিতা যদি কর্ম হন মা হচ্ছেন ভাবধারা। কর্ম ও
ভাবধারার সংমিশ্রণেই জীবন পুর্ণতা লাভ করে। পিতা- মাতার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা ও
সম্মান প্রদর্শন করলেই গার্হস্থ্য জীবনে পুর্ণতা আসে। কোন অবস্থাতেই মায়ের গুরুত্বকে
কম করা সম্ভব নয়।**
** তুচ্ছতা থেকে মহানতার দিকে, অপুর্ণতা থেকে পুর্ণতার
দিকে, অসত্য থেকে সত্যের দিকে, অন্ধকার থেকে আলোকের দিকে, মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে
যে প্রগতি, তারই নাম যোগ। অণুস্বরূপ আত্মাকে পরমাত্মায় বিলীন করে দেবার
প্রচেষ্টাকেই যোগ বলা হয়। এই প্রচেষ্টা যে সমস্ত পথের দ্বারা সম্পাদিত হয়ে থাকে
তাদেরই যোগমার্গ বলা হয়। তাই গার্হস্থ্য জীবন- যাপন করেও যে কোন মানুষ যোগমার্গে
অবস্থান করে মোক্ষ লাভ করতে পারেন।** জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।**
No comments:
Post a Comment