বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৯)
তারিখঃ—১৭/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পশ্চিমবঙ্গ* ভারত*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বিশ্বমানব শিক্ষার
কর্মী হয়ে বেদযজ্ঞের আসরে সকল মানব সন্তানকে আহ্বান করে বলো—“ আমি সকলের, সকলে
আমার। পৃথিবীর সকল লোককে তোমরা বেদযজ্ঞের দ্বারা আপন করে লও”।]
আমরা সকলেই বিশ্বমাতার সন্তান। তাই সকল
মানুষের মধ্যে একটা ভ্রাতৃত্ববোধের সুর কাজ করে। সারা বিশ্বে এক ঈশ্বরকে নিয়ে বহু
ধর্ম্ম ও মতবাদের সৃষ্টি হলেও এই ভ্রাতৃত্ববোধ অন্তরে কাজ করে বলেই কিন্তু আমরা এক
আসনে বসে একে অপরের কাছে মনের কথা ব্যক্ত করতে পারি। মানুষের এই ভ্রাতৃত্ববোধই হলো
মানবিকতার প্রকাশ এবং আমরা যে সবায় এক বিশ্বমাতা ও বিশ্বপিতার সন্তান তার সত্যতার
প্রকাশ। একই পিতা ও মাতা থেকে উৎপন্ন আট – দশটি সন্তান- সন্ততি যেমন একই ধর্ম বা
প্রকৃতির হয়না, জ্ঞান ও স্বভাবের তারতম্য দেখা যায় তাদের মধ্যে। অনেক অমিল
সত্ত্বেও তারা কিন্তু এক পরিবারের সদস্য। তেমনি সারা বিশ্বের মানুষ এক
বিশ্বপরিবারভুক্ত হয়েও জ্ঞান ও স্বভাবের তারতম্যের জন্য নিজেদেরকে ছোট- ছোট
পরিবারভুক্ত করে ফেলেছে এইমাত্র। আমরা সকলেই বিশাল সনাতন বৃক্ষের এক একটি পত্র
মাত্র। সনাতন বৃক্ষের পত্রগুলি এক একটি ঋষি। এই ঋষিগণ ক্ষুদ্র হলেও তাঁদের বাণী
বিশ্বজনীন। বিশ্বমানবের কল্যাণের জন্যই যদি মানব জাতির বিভিন্ন সম্প্রদায়, ধর্ম্ম,
মতবাদ গড়ে উঠে থাকে, তবে কেনো আমরা পুনঃ একমঞ্চে এসে নিজেদেরকে এক বিশ্বপরিবারভুক্ত
রূপে গড়ে তুলতে পারবো না? জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। জয় বেদমাতা,
বিশ্বমাতা ও ভারতমাতার জয়।
No comments:
Post a Comment