Friday, 18 August 2017

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২০ তাং ১৮ / ০৮/ ২০১৭

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০) তারিখঃ- ১৮/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ ঘোড়শালা* জঙ্গীপুর* মুর্শিদাবাদ* পশ্চিমবঙ্গ* ভারত*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করতে এসে যে ডালে বসে আছো সেই ডাল কাটতে যেও না, তাহলে নিজের জীবনকে নিজেই শেষ করবে, কেউ রক্ষাকর্তা থাকবে না।]
আত্মশুচির দ্বারা নিজের দেহ রক্ষা করতে হয়, এই দেহেই বাস করেন এগারোটি দেবতা। তাঁরা হলেন পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চকর্ম্মেন্দ্রিয় ও একটি মন। এই এগারোটি দেবতাকে নিয়ে যে সনাতন বৃক্ষস্বরূপ দেহ, তাঁর অনেক শাখা- প্রশাখা- পত্র দেখা যায়। আমরা ভুল করে আগে জীবনের বড় বড় সমস্যার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাদের সমাধান করতে যায়। এই সমাধান করতে গিয়ে আমরা যে বৃক্ষের ডালে বসে আছি, সেই বৃক্ষের ডাল কেটে ফেলতে শুরু করি। ফলে আমাদের দৈহিক, মানসিক, নৈতিক ও আত্মিক পবিত্রতার দিকটা উপেক্ষিত হতে থাকে। ফলে কোন কাজেই আমাদের পূর্ণ সফলতা আসে না। প্রত্যেকটি ইট পাকা হলেই ইমারত সুদৃঢ় হয়। আমাদের এই সনাতন বৃক্ষে যথা সময়ে প্রচুর ফুল- ফল হয়, যদি আমরা সেই বৃক্ষটিকে রক্ষা করতে পারি শুচিতার দ্বারা। সনাতন বৃক্ষ বা দেহ তাঁর নিজের ধর্ম্ম নিয়ে শুচিতা রক্ষা করতে পারলেই, সে তাঁর গৃহ, গ্রাম, দেশ, জগতের শুচিতা রক্ষা করতে পারবে, এই বৃক্ষের ফুল দিয়ে মালা গেঁথে ঈশ্বরের গলায় পড়িয়ে দিয়ে। এই সনাতন বৃক্ষের বনের ফুল দিয়ে যে মালা রচিত হয়, তাই কেবল শোভিত হয় বনমালীর গলায়। এই বনের বৃক্ষে যে ফল হয়, সেই ফল নিবেদন করলেই বিশ্বজনক তৃপ্তি লাভ করেন। মানব সন্তান নিজের শুচিতার দ্বারা, নিজের মন্দিরের এগারোটি দেবতাকে তুষ্ট করে নিজ দেবালয়ে একাদশী পার্ব্বন শুচিতার সাথে সম্পূর্ণ করে শ্রীগীতার একাদশ অধ্যায়ের জ্ঞান লাভ করে দিব্যচক্ষু লাভ করেন এবং ঈশ্বরের বিশ্বরূপ দেখার যোগ্য হয়ে উঠেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শে জীবন সংগঠন একমাত্র তাঁর কৃপাশক্তির প্রেরণাতেই সম্ভব হতে পারে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। জয় বেদমাতা, বিশ্বমাতা ও ভারতমাতার জয়। জয় বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।

No comments:

Post a Comment