বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৬)
তারিখঃ- ২৪/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পশ্চিমবঙ্গ* ভারত*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে বেদ তথা
স্বধর্মকে রক্ষা করতে পারলেই মানুষ পুণ্যের ফল সুখ তা লাভ করে।]
মানব জাতি পুণ্যের ফল যে সুখ তা চায়, কিন্তু
পুণ্যকাজ করে নিজের ধর্ম্ম রক্ষা করতে চায় না। পাপের ফল যে দুঃখ আমরা তা চাই না,
কিন্তু পাপ কাজ করার চেষ্টা থেকে মুক্ত হবার পথেও এগিয়ে যাই না। গীতাতে মানবজাতিকে
স্বধর্ম্ম রক্ষা করার উপদেশ স্বয়ং বেদভগবান দিয়েছেন। তাই মানুষের কোন সময়েই কাম,
ভয়, লোভ, এমনকি জীবন রক্ষার জন্যও ধর্ম্ম ত্যাগ করা উচিত নয়। কেননা ধর্ম্ম নিত্য
এবং সুখ- দুঃখ অনিত্য তথা জীব নিত্য এবং জীবনের হেতু অনিত্য। আমাদের পুণ্যভূমি
ভারতবর্ষের মাটিতে বিভিন্ন আততায়ী ধর্ম্মের নামে হিন্দু ধর্ম্মমতালম্বীদের মারতে
এবং স্ত্রী- কন্যার ইজ্জত নেওয়াকে তাদের পুণ্য কাজ বলে মনে করে নিজেদের গোষ্ঠীর
বিশাল সংখ্যা গড়ে নিয়েছে। স্বাধীন ভারতবর্ষে এখনও তাদের এই পুণ্য কাজ চলছে, যদিও
এটি তাদের বিপরীত বুদ্ধির পরিণাম। এদিকে ভারতীয়দের স্বধর্ম্ম- প্রেম এত কম হয়ে
গেছে যে কেউ আর ভয়ে ভোট দিয়ে স্বধর্ম্মের ভিত মজবুত করার জন্য অর্জ্জুনের ন্যায়
প্রতিনিধিকেও সাংসদে পাঠাতে চায় না। গীতার উপদেশকে তুচ্ছ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু মেয়েরা নিজের
ধর্ম্ম ত্যাগ করে তমোগুণ দ্বারা বেষ্টিত অধর্ম্মকে ধর্ম্ম বলে কবুল করে নিচ্ছে
কাম, লোভ ও জীবনের ভয়ে। প্রায় এগারোশো বছর ধরে ভারতের বুকে এই অভিনব ধর্ম্মান্তরিত
প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ার ফলেই অখণ্ড ভারত খণ্ড খণ্ড হয়েছে ধর্ম্মের ভিত্তিতে
ভাগ হয়ে। গুরু গোবিন্দ সিং, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শিবাজী, রানাপ্রতাপের ন্যায়
কিছু মহান ছিলেন বলেই আজও ভারতের মাটি পবিত্র হয়ে আছে। যারা এগারোশো বছর আগে বা
তারপরে স্বধর্ম্ম ত্যাগ করে পরধর্ম্ম
গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের বংশধরেরা কি কেউ সত্যকে জেনে পরম শান্তিতে আছেন? জয়
বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment