Monday, 21 August 2017

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২৩ তাং ২১/ ০৮/ ২০১৭


বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩) তারিখঃ- ২১/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ- ঘোড়শালা* জঙ্গীপুর* মুর্শিদাবাদ* পশ্চিমবঙ্গ* ভারত*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদযজ্ঞ করে পরমাত্মাকে লাভ করার প্রধান উপায় হলো স্বার্থশূন্য শুদ্ধ প্রেমভক্তি।]
 ভগবান শ্রীরামের প্রেমে বিভোর ভরত যখন চিত্রকূটে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর প্রেমকে দেখে জড়েরা চেতন এবং চেতনেরা জড়বৎ হয়ে গিয়েছিল। যখন ভরতকে কেবল দর্শন করেই জড় চৈতন্যময় এবং চেতনেরা জড়বৎ হয়ে গিয়েছিল তখন স্বয়ং ভরতের কী দশা হয়েছিল তা কেবল ভরতই বলতে পারেন। এই রকমের স্বার্থশূন্য প্রেমকেই শুদ্ধ, অলৌকিক এবং উজ্জ্বল প্রেম বলা হয়। এতে মালিন্য নেই, ব্যাভিচারও নেই। এ দেদীপ্যমান দীপ্তি, সূর্যের মতো নয়, তবে পরম জ্ঞানবন্ত নির্মল জ্যোতির্ময়। এ অমৃতের চেয়েও বেশি অমরতা প্রদানকারী এবং স্বাদিষ্ঠ। এই প্রকৃত আনন্দময় সত্য স্বরূপের জন্য আমাদের বেদযজ্ঞের মাধ্যমে প্রয়াস করা উচিত। ক্ষণিক সুখরূপ ভোগের প্রতি, যা বাস্তবে কেবল দুঃখ তার প্রতি বিরাগ করা এবং সেই প্রেমময় পরমাত্মার প্রতি মন নিমগ্ন করে তাঁর প্রতিই প্রেম করা উচিত। যখন আমাদের মধ্যে প্রেমের অবিচ্ছিন্ন স্বরূপ প্রকাশিত হবে তখনই আমরা পরমাত্মাকে লাভ করবো। অতএব জীবনে যতই বাধা- বিঘ্ন আসুক পরমাত্মাকে লাভ করার পথ থেকে সরে থাকা উচিত নয়। এই পথে সবথেকে বড় বাধা সমাজ- সংসার। তার কারণ এই পথের পথিককে সমাজ- সংসারের বিপরীত স্রোতে চলতে হয়। এই বিপরীত স্রোতে চলতে গিয়ে সমাজ- সংসার এই পথের পথিককে পাগল মনে করে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এই নির্যাতন সহ্য করার শক্তি পরমেশ্বর যোগান দিয়ে থাকেন তাঁর প্রেমিককে। পরমাত্মাকে লাভ করার জন্য যারা এই পথের পথিক তাঁরা জানেন এই সব সামাজিক- সাংসারিক বাধা- বিঘ্নই হচ্ছে তাঁর প্রেম, এসবের মধ্যে দিয়েই তিনি প্রেমিককে পরখ করে নিয়ে খাঁটি করে নিতে চান। যারা এসবের ভয়ে প্রেমের জগতে যেতে চান না তারা আবদ্ধ জীব। এই আবদ্ধ জীব যেখানে বাস করে সেখানকার পরিবেশের সবকিছুই আবদ্ধ হয়ে যায়। আর প্রেমী যেখানে বিচরণ করে সেখানকার সকল বস্তু প্রেমময় হয়ে যায়। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। জয় বেদমাতা, বিশ্বমাতা ও ভারতমাতার জয়। জয় শ্রীরাম।

No comments:

Post a Comment