বিশ্বমানব শিক্ষা
ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫) তারিখঃ- ২৩/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ- ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ*
পশ্চিমবঙ্গ* ভারত*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে সনাতন
ধর্ম্মকে প্রতিষ্ঠা কর তাহলেই অধর্ম্মকে জয় করে ধর্ম্মরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করতে
পারবে।]
নির্মল বুদ্ধি,
বিদ্যা, সত্য, ক্ষমা ইত্যাদি গুণ হলো মানুষের ধার্মিকতার লক্ষণ। মন, বাণী এবং
কর্ম্মের দ্বারা সকল প্রাণির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, সকলের প্রতি কৃপা এবং দান
এইটিই হল সৎ বা সাধু পুরুষের সনাতন ধর্ম্ম। যে জাতি বা ব্যক্তি মন এবং ইন্দ্রিয়ের
গোলাম, বিদ্যা- বুদ্ধিহীন, সত্য- ক্ষমা রহিত, মন, বাণী ও শরীরের দ্বারা অপবিত্র,
হিংসা- পরায়ণ, অশান্ত, দানরহিত এবং পরস্বার্থহরণকারী ও লুটেরা তার কখনো উন্নতমানের
ধার্ম্মিক মানুষ হতে পারে না। ধর্ম্ম
মানুষকে মহৎ করে, ধর্ম্ম মানুষকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে সুখের শীতল ক্রোড়ে নিয়ে যায়,
অসত্য থেকে সত্যে নিয়ে যায়, অন্ধকারাচ্ছন্ন সংকীর্ণ হৃদয়ে অপুর্ব জ্যোতির প্রকাশ
এনে দেয়। ধর্ম্মই মানুষের চরিত্র গঠনের একমাত্র সহায়ক। ধর্ম্মের দ্বারাই অধর্ম্মকে
জয় করা যেতে পারে, ধর্ম্মই অত্যাচারকে বিনাশ করে ধর্ম্মরাজ্য স্থাপনার হেতু হতে
পারে। পাণ্ডবদের কাছে সৈন্যবল অপেক্ষা ধর্ম্মবল বেশি ছিল, সেজন্যই তারা জয়লাভ করে।
অস্ত্র—শস্ত্রের দ্বারা সর্ব্বরকমে সুসজ্জিত বিপুল সেনার অধিকারী মহাপরাক্রমী
রাবণেরও ধর্ম্মত্যাগের ফলে অধঃপতন হয়েছিল। কংসকে ধর্ম্মত্যাগের কারণে কলঙ্কিত হয়ে
মরতে হয়েছিল। আজ যারা ধর্ম্মহীন- নীতিহীন রাজনীতির আঙিনায় ভারতের জনগণকে ক্ষেপিয়ে
তুলছেন এবং সঙ্ঘবদ্ধ করে তুলছেন সত্য- ন্যায় ও ধর্ম্মের বিরুদ্ধে তাঁরা কি ভুলে
গেছেন সনাতন ধর্ম্মের মূল কথা—“ সত্যমেব জয়তে”।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment