বিশ্বমানব শিক্ষা
ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৭) তারিখঃ-২৫/ ০৮/ ২০১৭ স্থানঃ- ঘোড়শালা* জঙ্গীপুর*
মুর্শিদাবাদ* ভারত*
আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ দ্বারা সনাতন ধর্মের যথার্থ আচরণ শিক্ষার মাধ্যমে চরিত্রগত
ধর্ম্মবল সংগ্রহ করতে হবে, তবেই সনাতন ধর্ম্ম উজ্জ্বল রূপ নিয়ে পুনঃ ভারতের পুণ্য
ভূমিতে জেগে উঠবে।]
মহাভারতে বলা
হয়েছে—হে সত্যবিক্রম! যে ধর্ম অন্য ধর্মের বিরোধ করে সেটি তো কু-ধর্ম। যে অন্যের
বিরোধীতা করে না সেইটিই যথার্থ ধর্ম। সনাতন ধর্ম কোনো ধর্ম্মের বিরোধ করে না,
কিন্তু মানুষকে স্বধর্মে স্থির থেকে নিজের চরিত্রকে উজ্জ্বল রূপে গড়ে তোলার উৎসাহ
দান করে। মনুর কথা স্মরণ করে সনাতন ধর্মে মানুষকে স্থির থাকা উচিত—পরলোকে সহায়তার
জন্য মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী এবং আত্মীয়স্বজন থাকে না। সেখানে কেবল ধর্মই
কাজ করে। মৃত শরীরকে বন্ধু- বান্ধবেরা কাঠ এবং মাটির ঢেলার মতন মাটিতে ফেলে দিয়ে
চলে যায়। কেবল ধর্মই তার সঙ্গে যায়। অতএব পরলোকের সহায়তার জন্য প্রতিদিন ক্রমশঃ
বেদযজ্ঞ করে ধর্ম সঞ্চয় করতে থাকা উচিত। ধর্ম্মের সহায়তায় মানুষ দুস্তর নরকও পার
হয়ে যায়। ধর্মের আশ্রয়ে থেকে যখন মানুষ কর্মে প্রবৃত্ত হয় তখন তার বিবেক কাজ করে,
ফলে তার জ্ঞান সর্ব্বব্যাপী, সর্ব্বদর্শী, ন্যায়কারী, দয়ালু ঈশ্বরের সত্তার সাথে
এক হয়ে বিরাজ করে। এই সব ধার্মিক লোকদের দ্বারা ঈশ্বর কোনদিন অনাচার, অত্যাচার,
পাষণ্ডতামূলক কাজ করান না। কিন্তু আজকাল যেন ধর্ম ও ঈশ্বর মানুষের কাছে শত্রু হয়ে
উঠেছে। ধর্ম ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মানুষের মনে এক রকম সুপ্ত বিদ্বেষ কাজ করছে। কিছু
মানুষ নিজের দলভারী করার জন্য ন্যায়- অন্যায় বিচার না করে যে কোনো অছিলায় ধর্ম এবং
ঈশ্বরের কাজ করাকে নিন্দা করায় নিজেদের কর্তব্য মনে করে নিয়েছে। জয় বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment