বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৯৩)তারিখঃ-৩০/ ১০/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই মানুষ শুক্লাবর্ণা ষড়মুখী হাকিনী শক্তি লাভ করে কল্পতরু
হয়ে যান, এবং আজ্ঞাচক্রে আত্মাকে ধারণ করে অদ্বৈতবাদী জ্ঞান লাভ করে সর্বভূতে নিজ
আত্মাকে দেখতে পান।]
বেদ যজ্ঞের সাথেই মানব
দেহের সপ্ত চক্র যদা – মুলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ, আজ্ঞাচক্র ও
সহস্রার উত্থান নির্ভর করে। মানব দেহ যে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান দিয়ে গঠিত হয়ে আসছে
সেই বিজ্ঞানের শক্তি এই সপ্তচক্রেই রয়েছে। মানুষ এই সপ্তচক্রে ধ্যান করে সেই শক্তিবলে
কল্পতরু হয়ে যান এবং এই জগতে অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করতে সক্ষম হন। আজ্ঞাচক্র ভ্রুযুগল
মধ্যে অবস্থান করে। ধ্যানের নিকেতন
শুক্লবর্ণ দ্বিতল হ-ক্ষ বর্ণযুক্ত হয়ে রয়েছে ভ্রযুগল মধ্যে। এই স্থানে ইড়া,
পিঙ্গলা, বরুণা অসীরূপে মিলিত হয়ে বারাণসী তীর্থ হয়েছে। ঐ তীর্থের পদ্মে
শুক্লবর্ণা ষড়মুখী হাকিনী শক্তি আছেন। তাঁর চতুর্ভুজে পুস্তক, কপাল, ডমরু এবং
জপমালা রয়েছে। এই বারাণসী তীর্থে সাধক পদ্মধ্যানে বসলেই ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে
ব্রহ্মজ্ঞানী ----হয়ে কল্পতরু হয়ে যান। এই পদ্ম মধ্যে মন এনং কর্ণিকাতে ত্রিকোণ
যন্ত্র আছে। এই যন্ত্র আপনা থেকেই বাজতে
থাকে এবং এই স্থানকে পরম পবিত্র লয়ের স্থাল রূপে ধারণ করে রাখেন। এই স্থানেই শুক্ল
নামে মহাকাল এবং ইতয়াক্ষ সিদ্ধলিঙ্গ বিরাজ করেন। এই শিব অর্ধনারীশ্বর নামে
প্রখ্যাত। আজ্ঞাচক্রের জ্ঞান জন্মিলে জীব অদ্বৈতবাদী হয়ে যান। সনাতন ধর্মে সপ্তলোক
বা সপ্তচক্রের সাধনা মানুষের জন্য খুব সহজ সাধ্য। এই সাধনার কথা বিশ্বের অন্যকোন
ধর্মের মানুষ জানেন না। তাই সনাতন ধর্মের মানুষ ছাড়া বিশ্বের সব ধর্মের মানুষ
কুসংস্কারে আবদ্ধ হয়ে অন্ধকার জগতেই থেকে যান এবং বার বার জন্ম- মৃত্যুর স্বাদ
গ্রহণ করতে থাকেন। আজ মা জগদ্ধাত্রী পূজার শেষ লগ্নে সনাতন ধর্মের সকলকে জানাই বেদ যজ্ঞের শুভেচ্ছা।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment