Friday, 29 September 2017

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ৬২ তাং ২৯/ ০৯/ ২০১৭


বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৬২) তারিখঃ—২৯/ ০৯/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে সনাতনী মা দুর্গাকে  অন্তরে আহ্বান করে, নিজের সনাতন ধর্মকে রক্ষা করে,  তাঁর মহিমা চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।]
এ বিশ্বে মানব সমাজে বিভিন্ন নামধারী ধর্ম আছে। এসব ধর্ম্মের মধ্যে সনাতন ধর্ম্মের লোকেরাই আদিমাতা সনাতনী মা দুর্গার পূজা করে থাকেন, তাঁর বিভিন্ন রূপের প্রতিষ্ঠার দ্বারা। সারা বিশ্বে এই মূর্তি পূজার প্রচলন অতি প্রাচীনস্বর্ণ লঙ্কা পুরীতে রাবণ কৈলাশ পর্বত থেকে মা দুর্গাকে নিয়ে আসেন নিজের দুর্গে।  তিনি ভক্তিভরে মায়ের পূজা করে অষ্ট সিদ্ধি লাভ করেন। সেই সাধন বলে তিনি সমস্ত অসম্ভব জিনিষকে সম্ভব করতেন। তাই রাবণের রাজত্বের কথা ধরলে হিমালয়ের কৈলাশ মন্দির কত প্রাচীন, তা কেউ বলতে পারেন না। কৈলাশেই মায়ের আবাস স্থল, এই বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষের অন্তরে কাজ করে। রাবণও সেই বিশ্বাসকে অন্তরে ধারণ করে কৈলাশে যান এবং মায়ের ও বাবা ভোলানাথের আশীর্বাদ ধন্য হয়ে উঠেন। মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্মের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সমস্ত ধর্মই এক সনাতন ধর্ম থেকেই শাখা –প্রশাখা নিয়ে বের হয়েছ। এই সনাতন ধর্মে রয়েছে অফুরন্ত মধু, অনাবিল আনন্দ; কারণ সনাতন ধর্ম মধুব্রহ্মের সঙ্গে ও আনন্দময় ভগবানের সঙ্গে নিত্যযুক্ত রয়েছে। তাই এই মধুময় সাগর থেকে যত শাখা- প্রশাখায় বের হউক না কেনো, সেগুলোও মধুময় হয়েই দেখা যায়। এই সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি বেদে। বেদ শব্দের অর্থ সনাতন জ্ঞানের ভাণ্ডার। ইহা কোন পুরুষকৃত নহে অর্থাৎ, কোন মানুষ রচনা করে নাইসনাতন ধর্ম যেমন কোন মানুষ বা দেবতা সৃষ্টি করেন নি, এই ধর্ম অনাদিকাল ধরে আছে ও থাকবে, তেমনি বেদও অনাদিকাল ধরে আছে ও থাকবে।  সনাতন ধর্ম ও বেদ সত্য বলেই এদের নির্মাতা নাই। যেমন দুই আর দুই-এ চার হয়, ইহা গণিতে সত্য, এই সত্য কেহ তৈরি করেনি। ইহা চিরকালই ছিল ও আছে। সনাতন ধর্ম ও বেদ সেইরূপ সত্য। সনাতন ধর্মের সাথে বেদযজ্ঞ ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। এই সত্যকে কেউ সৃষ্টি করেনি। বেদযজ্ঞ করলেই মানুষের সনাতন জ্ঞান অর্থাৎ বেদসূর্য অন্তরে জেগে উঠে, তখনি মানুষ শ্রীভগবানকে আপনজন, প্রিয় ও সর্ব্বভূতের সুহৃদ বলে জানতে পারেন এবং পরমশান্তি লাভ করেন। মা দুর্গাও বেদের অপৌরুষেয় শক্তি, প্রকৃতিজাত। এই শক্তির আরাধনা যেমন রাবণ করে শক্তি অর্জন করতে পারেন, তেমনি তাঁর শক্তি লাভ করার জন্য ভগবান রামকেও করতে হয়।  জয় মা দুর্গা।  

No comments:

Post a Comment