৫২) গীতা
সম্পূর্ণ পাঠে অসমর্থ হলে অর্দ্ধেক পাঠ করবে, তাতে গোদানের ফললাভ হবে, সন্দেহ নাই।
৫৩) এক- তৃতীয়াংশ
পাঠ করলে সোমযাগের, এক ষষ্ঠাংশ পাঠ করলে গঙ্গাস্নানের ফল প্রাপ্ত হয়।
৫৪) যিনি
নিত্য দুই অধ্যায় পাঠ করেন তিনি ইন্দ্রলোক প্রাপ্ত হন এবং তথায় এক কল্পকাল বাস করে
থাকেন।
৫৫) যিনি ভক্তিভাবে নিত্য এক অধ্যায় পাঠ করেন, তিনি রুদ্রলোক প্রাপ্ত হন
এবং তথায় গণরূপে চিরকাল বসতি করেন।
৫৬) যিনি এক অধ্যায়ের অর্দ্ধাংশ বা চতুর্থাংশ নিত্য পাঠ করেন তিনি
সূর্য্যলোক প্রাপ্ত হয়ে শত মন্বন্তর তথায় বাস করেন।
৫৭) যিনি গীতার দশ, সাত, পাঁচ, চার, তিন, দুই, এক বা অর্দ্ধ শ্লোকও পাঠ
করেন, তিনি অযুত বৎসর কাল চন্দ্রলোকে বাস করেন।
৫৮) যিনি গীতার এক অধ্যায়ের এক শ্লোকের বা এক চরণের অর্থ স্মরণ করতে করতে
দেহত্যাগ করেন তিনি পরম পদ প্রাপ্ত হন।
৫৯) অন্তিমকালে গীতার্থ পাঠ বা শ্রবণ করলে মহাপাতকী ব্যক্তিও মুক্তিভাগী
হয়ে থাকেন।
৬০) যিনি গীতাপুস্তক সংযুক্ত হয়ে প্রাণত্যাগ করেন তিনি বৈকুণ্ঠধামে গিয়ে
বিষ্ণুর সহিত আনন্দ ভোগ করেন।
৬১) গীতার এক অধ্যায় সহযোগে মৃত্যু হলে মনুষ্যজন্ম লাভ হয় এবং পুনর্ব্বার
গীতাভ্যাস করে উত্তমা মুক্তিলাভ করা যায়।
৬২) ‘গীতা’ এই শব্দ উচ্চারণ করে মৃত্যু হলেও সদগতি লাভ হয়। যে ধর্ম্মই অনুষ্ঠান
করা হোক, তৎকালে গীতা পাঠ করলে সেই কর্ম্ম নির্দ্দোষ হয়ে সম্পূর্ণ ফলদানে সমর্থ
হয়।
৬৩) যিনি পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধে গীতাপাঠ করেন, তাঁর পিতৃগণ নরকস্থ
থাকলেও সন্তুষ্ট হয়ে স্বর্গে গমন করেন।
৬৪) গীতাপাঠে সন্তুষ্ট পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তৃপ্তিলাভ করে পিতৃলোক গমন করেন এবং
পুত্রকে আশীর্ব্বাদ করে থাকেন।
[ জয় বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়। জয় পরম গুরু শ্রীশ্রী গীতার জয়।]
No comments:
Post a Comment