[ গীতা পাঠ করলে বা শ্রবণ করলে সংসাররূপী
সমুদ্রে ডুবন্ত মানুষ সাথে সাথে নৌকায় আশ্রয় লাভ করে। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে
মহাতপা মুনির বাস এই কলি যুগে। গীতা পাঠ- পূজা –হোম- যাগ- যজ্ঞ ইত্যাদি দ্বারা
অন্তরের মহাতপা মুনি জাগ্রত হয়ে উঠেন কৃষ্ণমূর্তি হয়ে। এই মূর্তি দর্শনমাত্রেই
সাধকের মোক্ষলাভ হয়ে থাকে। আজকে আমরা গীতা মাহাত্ম্যের ২২ থেকে ৩৫ শ্লোক পাঠ করে
মহাতপা মুনির ন্যায় কৃষ্ণভক্ত হয়ে তপস্যায় রত হবো হিমালয়ের মহাতপা বিলে। হরি ওঁ তৎ
সৎ।]
২২) দেবকীনন্দন শ্রীকৃষ্ণ গীতাপাঠে যেরূপ
পরিতুষ্ট হন, বেদপাঠ, দান, যজ্ঞ, তীর্থদর্শন বা ব্রতাদি দ্বারা সেরূপ প্রসন্ন হন
না।
২৩) যিনি ভক্তিভাবে গীতা পাঠ করেন, তিনি
বেদ- পুরাণাদি সমস্ত শাস্ত্র পাঠের ফল প্রাপ্ত হন।
২৪) যোগস্থানে, সিদ্ধপীঠে, শিলাময়
দেবমূর্ত্তি সমীপে, সাধুজনের সভাতে, যজ্ঞে বা বিষ্ণুভক্তের নিকটে গীতা পাঠ করলে
পরম সিদ্ধিলাভ হয়।
২৫) যিনি প্রতিদিন গীতাপাঠ বা শ্রবণ করেন,
তিনি দক্ষিণা- সহ অশ্বমেধাদি যজ্ঞ করেন বলতে হবে।
২৬) যিনি গীতার্থ শ্রবণ করেন অথবা কীর্ত্তন
করেন কিংবা অপরকে শ্রবণ করান, তিনি পরম পদ লাভ করেন।
২৭—২৮) যিনি যথাবিধি ভক্তিভাবে পরিশুদ্ধ
গীতা পুস্তক সাদরে দান করেন, তাঁর ভার্য্যা প্রিয় হয়, তিনি যশঃ সৌভাগ্য ও আরোগ্য
লাভ করে দয়িতাগণের প্রিয় হয়ে পরম সুখ ভোগ করেন, এতে সংশয় নাই।
২৯--৩০) যে গৃহে
গীতার অর্চ্চনা হয়, তথায় অভিচারোদ্ভুত বা ভয়ানক অভিশাপজনিত কোন দুঃখ উপস্থিত হয়
না; তথায় ত্রিতাপজনিত পীড়া, কোন প্রকার ব্যাধি, শাপ, পাপ, দুর্গতি বা নরক ঘটে না।
৩১) গীতার্চ্চনা বা
পাঠ করলে দেহে বিস্ফোটকাদি হয় না; বরং উহাতে শ্রীকৃষ্ণচরণেই দাসত্ব ও অব্যভিচারিণী
ভক্তি লাভ হয়।
৩২) গীতাভ্যাসরত
ব্যক্তি প্রারব্ধ কর্ম্মভোগের অধীন থাকলেও সর্ব্বজীবের সহিত সখ্যভাব লাভ করেন,
তিনি সুখী ও মুক্ত হন, কর্ম্ম তাঁকে বন্ধন করতে পারে না।
৩৩) মহাপাপ বা
অতিপাপ করলেও পদ্মপত্রেস্থিত জলের মত সেই পাপ গীতাধ্যয়নকারী ব্যক্তিকে স্পর্শ করতে
পারে না।
৩৪—৩৫) অনাচার,
অবাচ্যকথন, অভক্ষ ভক্ষণ এবং অস্পর্শ্য জনিত পাপসকল এবং জ্ঞানকৃত বা অজ্ঞানকৃত বা
ইন্দ্রিয়জনিত যে কোন দোষই হোক না কেন তা গীতা- পাঠমাত্রই বিনষ্ট হয়।
[ জয় বেদভগবান
শ্রীকৃষ্ণের জয়। জয় গীতা মাতার জয়।]
No comments:
Post a Comment