বিশ্বমানব শিক্ষা
ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৫৯) তারিখঃ- ২৬/ ০৯/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ মা দুর্গা চৈতন্যময়ী,
বেদযজ্ঞ করলেই মানুষ সেই চেতনার সাথে যুক্ত হয়ে যায় এবং নিজেকে বিশ্ব-চেতনার মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত সত্তারূপে দেখতে পায়।]
সাধনা না করলে কেউ সিদ্ধি লাভের কথা চিন্তা
করতেও পারে না। তেমনি যার অন্তরে মানবিক চেতনা নেই সে কিভাবে মা দুর্গার চৈতন্যময়ী
রূপের কথা চিন্তা করে, নিজেকে মায়ের বিশ্ব- চেতনার সাথে মিলিত করবে? মানুষ সারে
তিন হাত বিশিষ্ট কেবল একটা জীবন্ত দেহ- সত্তা নহে। এই দেহ সত্তার মধ্যেই রয়েছে
অনন্ত কোটি জীবন্ত ব্রহ্মাণ্ড। এই সত্য জেনে সাধনার দ্বারা মন- প্রাণ-আত্মাকে মা
দুর্গার চৈতন্যময় ব্রহ্মময়ী সত্তার সাথে যুক্ত করতে হবে। যতক্ষণ মানুষ
দেহাত্মবুদ্ধি বিশিষ্ট হয়ে থাকবে ততক্ষণ এই দেহের মধ্যে নবদ্বার দিয়ে বিভিন্ন
অশুভশক্তি আসতেই থাকবে। কিছুতেই কাম- ক্রোধ- লোভ- মোহ- মদ- মাৎসর্য থেকে মুক্ত হয়ে
এই মৃত্যলোকের উর্ধ্বে উঠে অশুভশক্তির সাথে সংগ্রাম করে জয়ী হতে পারবে না। মা
দুর্গার কৃপা হলেই মানুষের দশম দ্বার বা ব্রহ্ম দুয়ার খুলে যায়। এই দ্বার দিয়ে তখন
দেবসেনার আগমন ঘটতে থাকে। দেবসেনাপতি কার্ত্তিকের সাথে দেবসেনাদের আগমন দেখলেই নবদ্বার দিয়ে
অশুভশক্তির আগমন বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় মা দুর্গা তাঁর সন্তানকে মানস সরোবরে
নিয়ে যান এবং তাঁকে পরমহংসের ন্যায় সেই সরোবরে ছেড়ে দেন মুক্ত করে। মানস সরোবরের
নীলপদ্ম দিয়ে তখন সেই সাধক সন্তান মুক্ত মনে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিতে থাকেন।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষার ও বেদযজ্ঞের জয়। জয় মা দুর্গা।
No comments:
Post a Comment