বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(৬০) তারিখঃ—২৭/ ০৯/ ২০১৭ আজকের
আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মা দুর্গার আরাধনা করে যাও বেদের অনুশাসন
মেনে।]
মা দুর্গার আবির্ভাব বেদ যজ্ঞের বেদী থেকে
স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অংশস্বরূপা রূপে। দেবতারা অসুর নিধনের জন্যে ভগবান বিষ্ণুর
শরণাপন্ন হলে তিনি কৃপা করে বিষ্ণুময় প্রতীক তাঁদের দান করেন। সেই প্রতীক নিয়েই
তাঁদেরকে বেদ যজ্ঞ করার উপদেশ দেন। বিষ্ণুময় প্রতীক ত্রিদণ্ড স্বরূপ। যিনি এই
ত্রিদণ্ড প্রতীক ধারণ করে বেদ যজ্ঞ করেন তাঁর কাছেই মা দুর্গার পূর্ণ ব্রহ্মময়ী
শক্তির আবির্ভাব ঘটে। বিষ্ণুময় এই প্রতীক ধারণ করা মাত্র দেবতাদের কায়দণ্ড-
বাকদণ্ড ও মনোদণ্ড সংযত হয়ে যায় ও যজ্ঞবেদী থেকে শিখা নিয়ে জ্ঞানময় ও ঈশ্বরনিষ্ঠ
মা দশভুজার আবির্ভাব হয়। দেবতাদের দুর্গতি নাশের জন্যে তাঁর আবির্ভাব তাই তিনি দুর্গা নামে ভূষিত হন। দেবতারা তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে দেবীকে নিজ নিজ অস্ত্র- বস্ত্র ইত্যাদি
দিয়ে সুসজ্জিত করে তোলেন যুদ্ধক্ষেত্রে অসুরদের নিধনের নিমিত্তে। দেবতারা দেখতে
পেলেন—জ্যোতির্ময়ী মা যেদিকে যাচ্ছেন সেদিকেই চোখের নিমিষে অসুর বিনাশ হয়ে যাচ্ছে।
অন্ধকারের যেমন কোন অস্তিত্ব নেই, তেমনি আসুরিক শক্তির কোন অস্তিত্ব নেই। আলো
জ্বললে শত চেষ্টা করেও যেমন অন্ধকারকে খুঁজে পাওয়া যায় না তেমনি মা দুর্গার
আবির্ভাব ঘটা মাত্র সমস্ত আসুরিক শক্তি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, তাঁদেরকে আর কোথাও খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। দেবতারা এই এইভাবে অশুভ
শক্তির বিনাশ হতে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে মা দুর্গার জয় ধ্বনি করতে লাগলেন। জয়
মা দুর্গা।
No comments:
Post a Comment