Saturday, 23 September 2017

গীতা মাহাত্ম্য ৬৫ থেকে ৭৩ শ্লোক

[ পবিত্র গীতার ধারা বৈজ্ঞানিক সত্য ও প্রত্যক্ষ ফলদায়ক কল্পতরু। যুগে যুগে ভারতের মহামানবগণ গীতার সূত্রকেই নিয়ে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে, সনাতন ধর্ম্মকে রক্ষা করে চলেছেন। জড়বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষের আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করে তুলেছে। তাই মানুষ গীতার সত্যকে জানার আগ্রহ দেখাতে চান না। সেই সাথে জড়- ভোগবাদের ভাবধারায় পুষ্ট হয়ে মানুষ আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের ভাবধারাকে একটি চরম উন্নতির শিখর রূপে মানতেও চান না। আমরা পবিত্র গীতার ৭০০ টি মন্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ফেসবুক—টুইটার- শেয়ার- ব্লোগারের মাধ্যমে আলোচনা করেই চলেছি, এই বৈজ্ঞানিক যুগে। লাখ লাখ মানুষ গীতা পাঠ করছেন প্রতিদিন। এখন পর্যন্ত একজন মানুষকেও পাই নি যিনি গীতার সমালোচনা করে বলতে পেরেছেন যে—গীতার কোন শ্লোক অবৈজ্ঞানিক বা অমানবিক। গীতা হলেন এক জীবন্ত গ্রন্থ, যিনি কেবল মানব জাতির গুরু নন, তিনি স্বয়ং বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণেরও পরম গুরু। তিনি দেব- দেবতা- অসুর- রাক্ষস- যক্ষ- রক্ষ- পরী- কিন্নর থেকে শুরু করে সমস্ত জীব ও অজীবের গুরু। আজকে আমরা গীতার মাহাত্ম্য কথা শুনবো ৬৫ থেকে ৭৩ পর্যন্ত শ্লোকের মাধ্যমে।]
৬৫) ধেনুপুচ্ছ( চামর) সহিত গীতা পুস্তক দান করলে দাতা সেই দিনই কৃতার্থ হন।
৬৬) যিনি সুবর্ণ- সংযুক্ত করে গীতাপুস্তক বিদ্বান বিপ্রকে দান করেন, তাঁহার আর পুনর্জ্জন্ম হয় না।
৬৭) যিনি শতখণ্ড গীতাপুস্তক দান করেন তিনি ব্রহ্মলোক প্রাপ্ত হন, তাঁর আর পুনরাবৃত্তি হয় না।
৬৮) গীতাদানের প্রভাবে দাতা বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হয়ে সপ্তকল্পকাল বিষ্ণুর সহিত পরম সুখে বাস করতে পারেন।
৬৯) গীতার্থ সম্যকরূপে শ্রবণ করে যিনি গীতা দান করেন, শ্রীভগবান তাঁর প্রতি প্রীত হয়ে তাঁর অভীষ্ট প্রদান করেন।
৭০) হে ভারত, চাতুর্ব্বর্ণ মধ্যে মনুষ্যদেহ ধারণ করে যে ব্যক্তি অমৃতরূপিণী গীতা পাঠ বা শ্রবণ করে না, সে প্রাপ্ত অমৃত হস্ত থেকে ফেলে দিয়ে বিষ ভক্ষণ করে।
৭১) সংসার- দুঃখার্ত্ত ব্যক্তি গীতাজ্ঞান লাভ এবং গীতামৃত পান করে ভগবানে ভক্তিলাভ করে সুখী হয়ে থাকেন।
৭২) জনকাদি রাজগণ গীতা আশ্রয় করে নিষ্পাপ হয়ে পরম পদ লাভ করেছেন।
৭৩) গীতাপাঠে উচ্চ নীচ ইতর বিশেষ নাই, ব্রহ্ম- স্বরূপিণী গীতা সমভাবে সকলকেই জ্ঞান দান করেন।
[ জয় শ্রীশ্রী গীতামাতার জয়। জয় বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।]


No comments:

Post a Comment