বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৯/ ১২/ ২০১৬ স্থানঃ—বৈদ্যনাথ
ধাম* দেওঘর* ঝাড়খণ্ড
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ –[ বেদ যজ্ঞ করেই প্রতিমাতে বিশ্বজননীর মহাপ্রাণ প্রতিষ্ঠা
করেই তাঁর আশীর্বাদ ধন্য হতে হয়।]
বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে প্রতিমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা
না হলে পূজার সকল অঙ্গই ব্যর্থ হয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমা তো
পুতুল থাকে, প্রাণপ্রতিষ্ঠা হলেই আসে তাতে জীবন্ত দেবত্ব। এই জীবন্ত প্রতিমার নিকট
পুজক যা বলবেন, যা চাইবেন তাই পাবেন এবং তাঁকে মা – বাবা বলে যা দিবেন তাই গ্রহণ
করবেন। মূর্তি আমাদের কাছে দেবতা। তাই দেবতা হয়েই দেবতার পূজা করতে হয়। দেবতা
যেভাবে সংযম পালন করে কাম- ক্রোধ- লোভকে সংযত করে নিজের আসন অলঙ্কৃত করে রেখেছেন,
তেমনি আমাদেরকেও তাঁর সাথে পূজার মাধ্যমে যুক্ত হতে গেলে সংযম পালন করে কাম-
ক্রোধ- লোভের ঊর্ধ্বে সদায় অবস্থান করতে হবে। বেদ যজ্ঞ করে প্রেমময় ঈশ্বরের ধ্যান
বা চিন্তন করে আহারে- বিহারে- বচনে যত আমরা পবিত্রতা রক্ষা করতে পারবো ততই আমরা
নিজ প্রাণকে আমাদের প্রিয় প্রতিমার মধ্যে দেখতে পাবো। নিজের মধ্যেকার দেবত্বকে
জাগিয়ে তুলতে না পারলে গোটা সংসারটায় পুতুলের সংসার হয়ে যায়। আবার যখন নিজের
অন্তরের দেবত্ব জেগে উঠে তখন আর কোন বস্তুই নিষ্প্রাণ থাকে না। পাথরের মধ্যেও
প্রাণের বিশাল তরঙ্গ দেখা যায় এবং সবকিছুই সত্যম শিবম সুন্দরম রূপ পেয়ে প্রাণবন্ত
হয়ে উঠে সাধকের কাছে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment