বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১৯/ ১২/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই ঈশ্বরের বিভিন্ন রূপ- গুণ –বৈভব-
ঐশ্বর্য সম্মলিত মূর্তি উঠে আসবে বেদ যজ্ঞ কুণ্ড থেকে, তাঁরই তোমরা পূজা কর
অন্তরের শ্রদ্ধা- ভক্তি দিয়ে।]
বেদ ও ঈশ্বরের মধ্যে কোন ভেদ নেই। বেদের রূপ
য়ও ঈশ্বরের রূপ কি প্রকার তা অবশ্যই জানতে হবে বেদ যজ্ঞ করে। এই জগতে যত প্রকার
রূপ আছে সকলই তাঁর একমাত্র রূপ থেকে উৎপন্ন হয়ে চলেছে এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ
পাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোন প্রকার রূপ নেই, যা সেই রূপের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
তিনি জ্যোতির্ময় আনন্দস্বরূপ বলে, তাঁকে বিশ্বরূপ বলা হয়ে থাকে। বিষ্ণু- ব্রহ্মা- মহেশ্বর ও দেবদেবী
সমস্তই তাঁর স্থুল রূপ। প্রথমে এই সকল স্থূল রূপের ধ্যান না করলে সুক্ষ্ম দর্শনের
অধিকার কেউ পেতে পারেন না। যারাই মুক্ত পুরুষ হতে চান, তাঁদেরকে প্রথমে এই স্থূল
রূপের আশ্রয় গ্রহণ করতেই হয়। যেমন একটা বাড়ী তৈরী করতে হলে আগে মানুষকে সেই বাড়ীর স্বপ্ন বা কল্পনা করতে
হয়, তবেই সেই বাড়ী নির্মাণ করা সম্ভব হয়। তেমনি অবিনাশী পরম ব্রহ্ম সুক্ষ্ম রূপের
বিশালত্ব দেখতে হলে, নিজেকে বিশ্বরূপ দেখার ও অনুভব করার উপযুক্ত করে তুলতে হয়
সাধনা ও সংগ্রামের দ্বারা। যারা এই বিশ্বরূপের মাধুরী দেখেন নি, বা শুনেন নি,
তাঁরা কিভাবে এই রূপের কথা বিশ্বাস করবেন ও কল্পনা করবেন? আর যিনি দেখেছেন তাঁরও
লিখে প্রকাশ করবার সাধ্য নেই। কারণ সে প্রকার কোন ভাষা নেই, যে ভাষায় সেই রূপকে ব্যক্ত
করা যায়। সে রূপ দেখলেই মানুষ মোহিত হয়ে বাক্যহীন ও জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন। জয় বেদ
যজ্ঞের জয়। জয় বাবা তৈলঙ্গধর স্বামীর জয়।
No comments:
Post a Comment