বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১১/ ১২/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ ক্ষুদ্র মহৎ প্রতিটি কর্মকেই বেদ যজ্ঞের অধীনে এনে
করার অভ্যাস করবে, তাহলেই কর্মের প্রারম্ভে ও সমাপ্তিতে কর্মকর্তা হৃদয়স্থ ভগবানকে
দেখে নিয়ে সমস্ত প্রকার অভিমান থেকে মুক্ত থাকবে।]
বেদ যজ্ঞের প্রভাবেই আমরা কি সাধনা ক্ষেত্রে
বা ধর্মক্ষেত্রে, কি কর্মক্ষেত্রে আমাদের জীবনের উন্নতি ও অবনতি দেখতে পাই। আমাদের
অন্তঃকরণে হৃদয়স্থ চৈতন্যশক্তির প্রভাবকে যত আমরা সহজ – সরল গতি সম্পন্ন করে চালিত
করতে সক্ষম হবো ততই আমরা আমাদের দেহযানকে নিয়ে বিভিন্ন লোক পরিভ্রমণ করে মুক্ত হতে
পারবো। দেহযানের উপর চেপে বিভিন্ন লোকের ধর্মক্ষেত্র- কর্মক্ষেত্র ভ্রমন করলেও তা
কিন্তু মৃতযান। যতক্ষণ সেই যানে আমি নামক চৈতন্যসত্তা বিরাজ করেন ততক্ষণ সেই
যজ্ঞবেদীতে বেদ যজ্ঞ চলে, তারপরেই সেই দেহযানের কোনও ক্ষমতা থাকেনা। এই দেহযানের
আমিই হচ্ছেন সবার বেদ ভগবান। তিনি যতক্ষণ দেহযানে থেকে সেই যানকে চালনা শক্তি
দ্বারা চালিত রাখেন ততক্ষণ সেই যানের যজ্ঞকুণ্ডে বেদ যজ্ঞ চলে। বেদ যজ্ঞ বন্ধ হলেই
তা মৃত শ্মশান হয়ে যায়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment