Tuesday, 27 December 2016

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ-- ২৭/ ১২/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৭/ ১২/ ২০১৬ স্থানঃ—মথুরাপুর* মানিকচক* মালদা* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই মানুষ সাধক হয়ে জানতে পারে মানব দেহের মূলাধার চক্রের দেবতা ইন্দ্রের কোলে চতুর্ভুজ ব্রহ্মা, ভৌতিক পদার্থাদি সৃষ্টি করছেন এবং চতুর্বেদ পাঠ করছেন।]
মানব দেহে মূলাধার চক্র গুহ্যে রয়েছে। ইহা রক্তবর্ণ, স্বর্ণাভ, অধোমুখ পদ্ম। তাই সাধক বেদ যজ্ঞকালে ঊর্ধ্বমুখ হয়ে উক্ত পদ্মের চিন্তা করবেন। এর চারটি দলে বং, শং, ষং, সং, এই চারটি বর্ণ আছে। কর্ণিকাতে চতুষ্কোণ পৃথ্বী চক্র আছে। ঐ চক্র উদ্দীপ্ত পীত বর্ণ অষ্টশূলযুক্ত, তার মধ্যে লং অর্থাৎ পৃথিবী বীজ আছে এবং তৎসহ লক্ষ্মীবীজ আছে। ঐ চক্রের দেবতা ইন্দ্র। তাঁর ক্রোড়ে চতুর্ভুজ ব্রহ্মা ভৌতিক পদার্থাদি সৃষ্টি করছেন এবং চতুর্বেদ পাঠ করছেন। ব্রহ্মার চতুর্বেদ পাঠের ফলে এই চক্র রক্তবর্ণ হয়ে চতুর্বাহু যুক্ত দ্বাদশ সূর্যতুল্য ডাকিনী শক্তি হয়ে রয়েছেন। সেই সাথে বজ্রা নাড়ীর মুখে কামরূপ নামে পীঠ আছে, তার মধ্যে ত্রিকোণ যন্ত্র আছে। ঐ যন্ত্রোদ্ভুত কন্দর্প বায়ু জীবাত্মাকে আয়ত্ত করে রেখেছে। ঐ ত্রিকোণ যন্ত্র মধ্যে শরদিন্দুসন্নিভ লিঙ্গরূপী স্বয়ম্ভু রয়েছেন। ঐ লিঙ্গের গাত্রে সার্ধ- ত্রিপাক বেষ্টন করে ব্রহ্ম নাড়ীর মুখের কাছে মুখ দিয়ে কুণ্ডলিনী শক্তি নিদ্রিতা আছেন, ইনি বিদ্যুৎরূপিণী মহামায়া। এই মহামায়া সদায় ভ্রমরের ন্যায় মধুর গুন- গুন নাদ করছেন। ইনিই শব্দজননী বেদমাতা। ইনিই শ্বাস- প্রশ্বাস বিভাগ দ্বারা প্রাণীগণের জীবন রক্ষা করছেন এবং বেদযজ্ঞে ব্রহ্মাকে সর্বপ্রকারে সাহায্য- সহযোগিতা করে চলেছেন। এই বেদ যজ্ঞের ক্রিয়া- কলাপ কুণ্ডলিনীর দেহ মধ্যে পরমাকলা ত্রি- অংশরূপা প্রকৃতি নিখিল ব্রহ্মাণ্ড প্রকাশ করে চলেছেন আপন ইচ্ছায়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment