বেদ
যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৪/ ১২/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[বেদ যজ্ঞ তোমরা নিজের জ্ঞান ও সামর্থ্য অনুসারে বেদ
ভগবানের উপাসনা করো।]
কর্মই তোমাদের ধর্ম। কর্ম ছাড়া কেউ বেদ
ভগবানের বা ঈশ্বরের উপাসনার অধিকার লাভ করতে পারে না। উপাসনা চার প্রকার—প্রথম
ঈশ্বরের উপাসনা, দ্বিতীয় দেবদেবীর উপাসনা, তৃতীয় শক্তিশালী পদার্থের উপাসনা, যেমন
সূর্য, অগ্নি ইত্যাদি; চতুর্থ ধার্মিক মানুষের উপাসনা। গাভীর উপসনা, বৃক্ষের
উপাসনা, শস্যের উপাসনা, ইত্যাদিও এক জাতীয় উপাসনা। এই কর্মের উপাসনার বশবর্তী হয়ে
হিন্দু সুত্রধর বাইস বাটালি পূজা করে, কর্মকার হাতুরি, নেহান পূজা করে, কুম্ভকার
চাকের পূজা করে, ব্রাহ্মণ সহ সমস্ত ধর্ম যাজক পুঁথির পূজা করে। উপসনার সময় অচেতন
উপাস্যকে সচেতন মনে করে উপাসনা করা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মের মানুষগণ পবিত্র কুরআনের
পূজা করে। আদিম কাল থেকে এই পূজার মাধ্যমে ঈশ্বরের উপাসনা হয়ে থাকে। জড়বস্তুর
উপাসনা করলেও মানুষের চিত্ত সেই অচেতন বস্তুর মধ্যেই ঈশ্বরের পূর্ণ শক্তি আছে বলেই
বিশ্বাস করে। সেই বিশ্বাস থেকেই মানুষের চিত্তবৃত্তির স্ফূর্তি সাধিত হয়। এই –সব
উপাসনা করতে করতেই যদি অজ্ঞানের নাশ হয় তবেই কেবলমাত্র আত্মাই স্বয়ং প্রকাশিত হন।
যে প্রকার মেঘের বিনাশ হলে সূর্য স্বয়ং প্রকাশিত হন। সাকার বা দেবদেবী ব্যতীত যে
উপাসনা তা কেবল পত্রহীন বৃক্ষের ন্যায় অঙ্গহীন উপাসনা। তাই বেদমাতা বা বেদ ভগবানকে
আশ্রয় করেই বেদ যজ্ঞের উপাসনা করলে ফল পাওয়া নিয়ে কোন সংশয় থাকে না মানুষের মনে।
জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment