বিশ্বমানব শিক্ষায় পবিত্র
কুরআনের আলো। [ সুরা—৭ আ’রাফ – ৩১ থেকে ৩৫ আয়াত।]
৩১) হে আদমের বংশধরগণ! প্রত্যেক নামাযের সময় সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে।
পানাহার করবে কিন্তু অপচয় করবে না। তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
মর্মার্থঃ—যেটুকূ আল্লাহ্ যার
জন্য বরাদ্দ করে দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থেকে পবিত্র জীবন যাপন করাই হচ্ছে মানুষের
সুন্দর পরিচ্ছদে নামাযে অংশগ্রহণ। পরিত্র খাদ্য খেয়ে জীবন ধারণ করা ও অপচয় না করা
এটাই হচ্ছে সাধনার প্রথম সোপান।
৩২) বল, আল্লাহ্ নিজ বান্দাদের জন্য যেসব শোভন
বস্তু ও জীবিকা সৃষ্টি করেছেন তা কে (কোন ব্যক্তি) নিষিদ্ধ করেছে? বল, পার্থিব
জীবনে বিশেষ করে কিয়ামতের দিনে এ সমস্ত তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে। এরূপে জ্ঞানী
সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করি।
মর্মার্থঃ—প্রত্যেক মানুষের
জন্য স্রষ্টা পবিত্র জীবিকার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। কেবল মানুষকে নিজের বুদ্ধিকে
স্থির রেখে তার সন্ধান করে নিতে হবে।
৩৩) বল, আমার প্রতিপালক
নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, আর পাপাচার ও অসঙ্গত বিরোধিতা এবং কোন
কিছুকে আল্লাহ্র শরিক করা, যার কোন দলিল তিনি প্রেরণ করেননি এবং আল্লাহ্
সম্বন্ধে এমন কিছু বলা, যে সম্বন্ধে তোমার কোন জ্ঞান নেই।
মর্মার্থঃ—কোন রকম অশ্লীল
কার্যে লিপ্ত থাকলেই মানুষ তার নিজের গুণ হারিয়ে ফেলবে। আর যে জ্ঞান নেই তা নিয়ে
বললেও মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।
৩৪) আর প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে।
যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরা করতে পারবে না।
মর্মার্থঃ—প্রত্যেক মানুষকে
ধৈর্য ধারণ করতে হয় শুভ সময়ের জন্য সৎকর্মশীল হয়ে।
৩৫) হে মানব জাতি! যদি
তোমাদের মধ্য হতে কোন রসূল তোমাদের নিকট এসে আমার নিদর্শনসমূহ বিবৃত করে, তখন যারা
সাবধান হবে এবং নিজেকে সংশোধন করবে তাদের কোন ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে
না।
মর্মার্থঃ—বুদ্ধিমান লোকেরা
আকার ইঙ্গিতেই সব সত্য বুঝতে পারে এবং তারা নিজেদের স্বভাব চরিত্রের সংশোধন করে
নেই জ্ঞানীদের সান্নিধ্য লাভ করে।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও পবিত্র
কুরআনের আলোর জয়।
No comments:
Post a Comment