বিশ্বমানব শিক্ষায় পবিত্র
কুরআনের আলো। [ সুরা –৭ আ’রাফ – ৪৬ থেকে ৫০ আয়াত।]
৪৬) উভয়ের ( জান্নাত ও
জাহান্নামের) মধ্যে পর্দা আছে এবং আ’রাফে কিছু লোক থাকবে যারা প্রত্যেককে তার
লক্ষণ দ্বারা চিনবে এবং জান্নাতবাসীদের সম্বোধন করে বলবে, তোমাদের উপর শান্তি
বর্ষিত হোক। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করেনি, কিন্তু আশা করে।
মর্মার্থঃ—জান্নাত ও
জাহান্নামে কেবল একটা পর্দার দূরত্ব ।
৪৭) যখন তাদের দৃষ্টি
জাহান্নামবাসীদের প্রতি ফিরিয়ে দেয়া হবে তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে
পাপিষ্ঠদের সঙ্গী করো না।
মর্মার্থঃ—যারা জান্নাতে
প্রবেশ করার অনুমতি পাবে তারা কিছুতেই জাহান্নামবাসীদের সেখানে ফেলে যেতে চাইবে না
কিন্তু তাদের সঙ্গী হয়েও থাকার কথা ভাবতে পারবে না, তাই তারা জাহান্নামবাসীদের
মুক্তির জন্য নিজের প্রতিপালকের কাছে আবেদন জানাবে, এটাই হচ্ছে জান্নাতবাসীদের
উদারতা। এই উদারতা না থাকলে কেউ জান্নাতের ঘরে স্থান পাবে না।
৪৮) আ’রাফবাসীগণ যাদেরকে লক্ষণ দ্বারা চিনবে
তাদেরকে সম্বোধন করে বলবে, তোমাদের দল ও তোমাদের অহংকার কোন কাজে আসল না।
মর্মার্থঃ—জান্নাত ও জাহান্নাম
পাহারাদারগণ কেবল উদারতার লক্ষণ দেখে স্থির করে নিতে সক্ষম হয় কে কোথায় যাবার জন্য
এখানে এসেছে।
৪৯) দেখ, এদেরই সম্বন্ধে কি
তোমরা শপথ করে বলতে যে, আল্লাহ্ এদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না। এদেরই বলা
হবে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।
মর্মার্থঃ—পৃথিবীতে যাদেরকে দেখে
মনে হতো এরা জাহান্নামের কীট তারাই এখানে জান্নাতে প্রবেশের অধিকার পাচ্ছে, কেবল
মাত্র তাদের মন ও চিত্তের উদারতার জন্য। পার্থিব জগতের ধন সম্পদ ও লোকবল এখানে কোন
কাজে আসে না।
৫০) জাহান্নামবাসীরা জান্নাতবাসীদের সম্বোধন করে
বলবে, আমাদের উপর কিছু পানি ঢেলে দাও, অথবা আল্লাহ্ জীবিকারূপে তোমাদের যা
দিয়েছেন তা হতে কিছু দাও। তারা বলবে, আল্লাহ্ এ দুটি অবিশ্বাসীদের জন্য নিষিদ্ধ
করেছেন।
মর্মার্থঃ—এই পৃথিবীর বুকে যারা
বিশাল ধন সম্পদের মালিক ছিল তারা জাহান্নামে গিয়ে ভিখারীর কাছে নিজেদের করুণ
অবস্থার কথা জানিয়ে কৃপা ভিক্ষা করবে। কিন্তু তাদেরকে সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও
কেউ সাহায্য করতে পারবে না।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও পবিত্র
কুরআনের আলোর জয়।
No comments:
Post a Comment