বিশ্বমানব শিক্ষায় পবিত্র
কুরআনের আলো। [ সুরা—৭ আ’রাফ – ৪১ থেকে ৪৫ আয়াত।]
৪১) তাদের শয্যা হবে জাহান্নামের
এবং তাদের উপরের আচ্ছাদনও (হবে জাহান্নামের), এভাবে আমি অত্যাচারীদের প্রতিফল দেব।
মর্মার্থঃ—প্রত্যেক মানুষের
পরকাল বা ভবিষ্যতের জীবন নিয়ে ভয় থাকা উচিত। কারণ কোনমতেই কারও এটাই শেষ জীবন হতে
পারে না।
৪২) আমি কাউকেও তারা সাধ্যাতীত
ভার অর্পণ করি না, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তারাই জান্নাতবাসী, সেখানে তারা
চিরকাল থাকবে।
মর্মার্থঃ—প্রত্যেক মানুষের
জ্ঞান বুদ্ধি শক্তি সম্বন্ধে তাঁর প্রতিপালক সচেতন, তাই তিনি কারো জীবনে সাধ্যাতীত
ভার অর্পণ করেন না। নিজের ক্ষমতা অনুসারে সৎ কর্মের নির্দেশ তিনি সকলকে দিয়ে
থাকেন।
৪৩) আর আমি তাদের অন্তর হতে মালিন্য দূর করব,
তাদের পাদদেশে প্রবাহিত হবে নদী এবং তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহ্রই যিনি আমাদেরকে
এর পথ দেখিয়েছেন। আল্লাহ্ আমাদের পথ না দেখালে আমরা কখনও পথ পেতাম না। আমাদের
প্রতিপালকের রসূলগণ তো সত্য বাণী এনেছিল, এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, তোমরা
যা করতে তারই জন্য তোমাদেরকে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে।
মর্মার্থঃ—যে যেমন স্থানে থাকার
জন্য সাধনা করবে সে সেইমতো থাকার জায়গা পাবে। সত্য চিরকাল সত্য হয়েই বিরাজ করে।
তাই যে যেমন ভাবে সত্যকে চাইবে সে তেমনভাবেই পাবে সাধনক্ষেত্রে।
৪৪) জান্নাতবাসীগণ
জাহান্নামবাসীদের সম্বোধন করে বলবে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলেন আমরা তা সত্য পেয়েছি। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যা বলেছিল তোমরা তা
সত্য পেয়েছ কি? ওরা বলবে, হাঁ! অতঃপর জনৈক ঘোষোণাকারী তাদের নিকট ঘোষণা করবে, পাপিষ্ঠদের
উপর আল্লাহ্র অভিশাপ।
মর্মার্থঃ—জাহান্নামবাসীরা যদি
জান্নাতবাসীদের সামান্য সময়ের জন্যও সাক্ষাৎ পায় তবেই তারা যেন ধন্য হয়ে যায়।
৪৫) যারা আল্লাহ্র পথে বাধা দেয় এবং তাতে দোষ
ত্রুটি অনুসন্ধান করে, তারাই পরকালকে অবিশ্বাস করে থাকে।
মর্মার্থঃ—যারা পরকালকে
অবিশ্বাস করে তারা সবদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলায় হচ্ছে
পরকালের প্রতি বিশ্বাস। এই বিশ্বাস যাদের নেই তারা কিভাবে নিজের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল
করে গড়ে তুলবে?
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও পবিত্র
কুরআনের আলোর জয়।
No comments:
Post a Comment