Sunday, 7 October 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ৪২৭ তাং-- ০৭/ ১০/ ২০১৮


    বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৪২৭) তারিখঃ- ০৭/ ১০/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মা দুর্গার আরাধনা করে যাও বেদের অনুশাসন মেনে।]
মা দুর্গার আবির্ভাব বেদ যজ্ঞের বেদী থেকে স্বয়ং ভগবান ঈশ্বরের অংশস্বরূপা রূপে। দেবতারা অসুর নিধনের জন্যে ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলে তিনি তাঁদের বিষ্ণুময় প্রতীক দান করেন। সেই প্রতীক নিয়েই তাঁদেরকে বেদ যজ্ঞ করার উপদেশ দেন। বিষ্ণুময় প্রতীক ত্রিদণ্ড স্বরূপ। যিনি এই ত্রিদণ্ড প্রতীক ধারণ করে বেদ যজ্ঞ করেন তাঁর কাছেই মা দুর্গার পূর্ণ ব্রহ্মময়ী শক্তির আবির্ভাব ঘটে। বিষ্ণুময় এই প্রতীক ধারণ করা মাত্র দেবতাদের কায়দণ্ড- বাকদণ্ড ও মনোদণ্ড সংযত হয়ে যায় ও যজ্ঞবেদী থেকে শিখা নিয়ে জ্ঞানময় ও ঈশ্বরনিষ্ঠ মা দশভুজার আবির্ভাব হয় তখন দেবতাগণ মায়ের আরাধনা শুরু করেন—সংযত প্রণত আমরা দেবী মহাদেবী ভদ্রাশক্তি মহাপ্রকৃতিকে সর্বদা বার বার প্রণাম করি। তিনি অগ্নিবর্ণা এবং নিজ তপস্যা প্রভাবে জ্বাজল্যমানা। মানুষ কর্মফলসমূহ লাভের জন্য তাঁর সেবা করে। সেই দুর্গা দেবীর আমি শরণ নিলাম—দুর্গতিনাশিনী পারকর্ত্রী তাঁকে প্রণাম। তাপাপহারিণী ভোগ ও মোক্ষপ্রদায়িণী অনন্ত শুদ্ধ বিজয়িনী মঙ্গলদাত্রী অচলা শরণীয়া দেবীকে প্রণাম। মহাভয় বিনাশিনী মহাদুর্গতি প্রশমনী মহাকারুণ্যরূপিণী দেবী আপনাকে প্রণাম। আপনি মন্ত্রসমূহের আদিস্বরূপা ওঙ্কাররূপিণী, আপনি শব্দের প্রতিপাদ্য জ্ঞানস্বরূপিণী, আপনি জীবচিত্তে চিন্ময়াতীতা পরমাত্মারূপিণী এবং আপনি হলেন শূন্যের মধ্যে সাক্ষীরূপিণী অর্থাৎ আকাশতত্ত্বের অব্যয় বীজ। যার উপরে আর কিছু নেই, তিনিই দুর্গা নামে প্রকীর্তিত হন। সেই সংসারসাগর পারকারিণীকে সংসারভয়ে ভীত আমি প্রণাম করি।  দেবতাদের দুর্গতি নাশের জন্যে তাঁর আবির্ভাব তাই তিনি দুর্গা নামে ভূষিত হন। দেবতারা তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে দেবীকে নিজ নিজ অস্ত্র- বস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত করে তোলেন যুদ্ধক্ষেত্রে অসুরদের নিধনের নিমিত্তে। জয় মা দুর্গা।

No comments:

Post a Comment