বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(৪৪৯) তারিখঃ—২৯/ ১০/ ২০১৮
আজকের
আলোচ্য
বিষয়ঃ—[ মৃত্যুকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করে বেদ যজ্ঞ করবে বাঁচার
জন্য তবেই মৃত্যুর হাত এড়িয়ে তোমরা অমরত্বকে লাভ করবে।]
বাঁচার জন্য যতই লড়াই
করো এই মৃত্যুলোকে কেউ বাঁচতে পারবে না। কেনো জন্ম- মৃত্যুর খেলা এই পৃথিবীর বুকে
চলছে তার কেউ খোঁজ করে না। সবায় এই রহস্য না জেনে সুখে- শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য
সংগ্রাম করে চলেছে। মৃত্যুর পরেই কি জীবের সবকিছু শেষ হয়ে যায়? এ নিয়ে নানা
প্রশ্নের উদয় হয় মানুষের মনে কিন্তু সঠিক প্রমাণ দিয়ে কেউ এই রহস্যের সমাধান করতে
সক্ষম হয় না। যারা মৃত্যুকে বন্ধুরূপে পেয়েছে তারাও খাবার খেতে গিয়ে সেই বন্ধুর
কথা ভুলে যায়। কারণ জীবের বাঁচা ও মরা দুটোই খাদ্যের মধ্যে মায়ারূপে লুকিয়ে আছে।
জীব মাত্রই বায়ুভোজী। কিভাবে বায়ুর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে জীব মৃত্যুকে জানবে? তাই
জীব যতক্ষণ বায়ুভক্ষন করতে থাকে ততক্ষণ সে কিছুতেই এই মৃত্যুলোকের মায়া ত্যাগ করতে
পারে না। অনেকে যখন এখানে বাঁচার আশা ত্যাগ করে তখনও বেঁচে থাকার জন্যই আত্মহত্যা
করে মৃত্যুকে ডেকে আনে। বিপাকে পড়ে যখন মানুষ আত্মহত্যা করতে যায় তখন মৃত্যু বন্ধু
হয়ে তার পাশে দাঁড়ায়। বন্ধু মৃত্যুর কথা যে মানুষ উপলদ্ধি করতে পারে সেই মৃত্যুর
হাত থেকে বেঁচে গিয়ে তাঁকেই চিরকালের বন্ধুরূপে পেয়ে যায়। তখনি মানুষের অন্তরের
কলম জীবন্ত হয়ে সত্য কথা বলতে শুরু করে। মৃত্যুই একমাত্র সত্য। তাই মৃত্যুর পথেই
এগিয়ে গিয়ে সত্যকে জানতে হয়। আর মৃত্যুর পথে যেতে গেলে মৃত্যুকেই বন্ধুরূপে,
পরামর্শদাতা রূপে ও পথপ্রদর্শক রূপে গ্রহণ করতে হয়।আর মৃত্যুকে জীবনের বন্ধুরূপে
লাভ করলেই জীবনের সব পথ পবিত্র হয়ে যায়। এই সব মহানদের দেখলেই তখন ভয়ে সমাজের যত
প্রকার অন্যায়- ভ্রষ্টাচার –আবর্জনা- পাপাচার- কদাচার- নোংরামি পালিয়ে যায়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment