বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৪৪৮)
তারিখঃ—২৮/ ১০/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ নিজের মৃত্যু আসন্ন জেনে যে ব্যক্তি বেদ যজ্ঞ করেন
তিনিই ধন্য- তিনিই অমর এই মৃত্যুলোকে।]
এই মৃত্যুলোকে কেউ চিরকাল বেঁচে থাকবে না,
এই সত্য জেনে মানুষের কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, এই দুর্লভ বস্তুর সন্ধান করা
প্রয়োজন। সর্বতত্ত্বদর্শী, সর্বজ্ঞানসম্পন্ন সদগুরুর আশ্রয়ে গেলেই মানুষ তার
সন্ধান পেতেও পারেন, আবার নাও পেতে পারেন। যে সমস্ত গৃহস্থ দিবারাত্র পরিবারকে নিয়েই ব্যস্ত
থাকে, সেই গৃহস্থদের সব কথা বলার, সব কথা শোনার ও সাংসারিক হাজার হাজার কথা চিন্তা
করার সময় আছে, কিন্তু নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে, মৃত্যুর পরের জীবনের কথা
চিন্তা করার সময় থাকে না। তাদের সমস্ত জীবন এইভাবেই শেষ হয়ে যায়। রাত্রিতে নিদ্রা
ও স্বামী- স্ত্রীতে বিলাস ভোগ এবং দিবাভাগে ধনোপার্জন ও স্ত্রীপুত্রাদি পোষণেই
তাদের জীবন অতিবাহিত হয়। সংসারে যাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মপরিজন বলা হয় সেইসব দেহ,
স্ত্রী- পুত্রাদি সবই অসার, কেবল অসৎ অর্থাৎ নশ্বর। কিন্তু জীব সেই সকল বস্তুতে
মোহগ্রস্ত হয়ে এমন আসক্ত হয়ে যায় –যে অনুক্ষণ তাদের মৃত্যু কবলিত হতে দেখেও সেদিকে
ভ্রূক্ষেপ করে না। জীবের তো অনুক্ষণ এই মৃত্যুলীলা দেখে সদায় নিজের মৃত্যুর কথায়
চিন্তা করে, সর্বশক্তিমান বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তি শ্রবণ, কীর্তন ও স্মরণ
করে বেদ যজ্ঞ করা উচিত। জ্ঞান, ভক্তি সহকারে নিজ নিজ আশ্রমধর্ম পালন করে নিজের জীবনকে
এমনভাবে তৈরী করা যাতে মৃত্যুকালেও বেদ যজ্ঞ করতে করতেই মানুষ বেদ ভগবানের চরণে
লীন হয়ে যেতে পারে। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment