Friday, 9 February 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৯৫) তাং ০৯/ ০২/ ২০১৮

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৯৫) তারিখঃ—০৯/ ০২/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বৈদিক যুগে বেদযজ্ঞ করে মানুষ যে শিক্ষা পেতেন তা ছিল সর্বদিকে মানব কল্যাণমুখী।]
মানব জীবনে সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো শিক্ষা। এই শিক্ষা নিয়ে আমরা সকলেই চিন্তিত। জমিতে চাষ না করলে যেমন ফসল কেউ আশা করতে পারে না, তেমনি মানব দেহ চাষ না করলে কেউ নিজস্ব জ্ঞান লাভ করতে পারে না। তাকে চিরকাল পরগাছা হয়ে পরের জ্ঞান- বুদ্ধির উপর নির্ভর করে চলতে হয়। মানব দেহ চাষ করার কৌশলটা শিখে নেওয়ার হচ্ছে শিক্ষা। আর চাষের পর ফসলটাই হচ্ছে আত্মজ্ঞান। বর্তমান শিক্ষাও জ্ঞান লাভের একটা কৌশল। এই শিক্ষার মাধ্যমেও মানুষ যথেষ্ট শয়তানী জ্ঞান- বুদ্ধি লাভ করছে--- এটা অস্বীকার করা যাবে না। এই শয়তানী জ্ঞান- বুদ্ধি জোড়ে মানুষে মানুষে লড়াই-এর প্রতিযোগিতা, দেশে দেশে লড়াই এর প্রতিযোগিতা, ধর্মে ধর্মে লড়াই- এর প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক লড়াই এর দ্বারা দেশ দখলের প্রতিযোগিতা প্রতিনয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বলতেই হয় বর্তমান শিক্ষা ও বৈদিক যুগে বেদযজ্ঞের  মাধ্যমে শিক্ষার  যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বৈদিক যুগে শিক্ষার মাধ্যমে মানব জীবনে যুক্ত হতো জাতীয়জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকজ্ঞান ও আত্মিকজ্ঞানের আলো। বিপরীত দিকে এযুগে শিক্ষার মাধ্যমে মানব জীবনের মূল্য কমে যাচ্ছে, জীবনে যুক্ত হচ্ছে হতাশা, জীবনের প্রতি অনীহা, দুর্বলতা, আর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল না হয়ে অন্ধকার। শিক্ষার আলো পেয়ে যদি মানুষের শয়তানী বুদ্ধি বেড়ে যায়, তাহলে তখন সে ঘরে বাইরে সর্বত্র কেবল অশান্তির আগুনে জ্বলবে। কথায় আছে যার যত বুদ্ধি তার তত অশান্তি, আর যার যত জ্ঞান তার তত প্রশান্তি। তাহলে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য শিক্ষা নয়, শিক্ষা হলো মানব মনে প্রশান্তি আনার জন্য। বৈদিক যুগের বেদযজ্ঞের মাধ্যমে শিক্ষা বেকারত্ব দূর করতো, এযুগের শিক্ষা বেকার সৃষ্টি করছে। বর্তমান যুগের শিক্ষার অর্থ হলো বেকার সৃষ্টি করা—বেকারত্ব মোচন করা নয়। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment