বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০২) তারিখঃ—১৬/ ০২/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ-- [ বেদযজ্ঞ করলেই
মানুষের অন্তরে ওঁ সত্যম শিবম সুন্দরম ওঁ নমঃ শিবায় মন্ত্রের জ্যোতির্ময় রূপ ফুটে উঠে।]
=======================================
“ওঁ সত্যম শিবম
সুন্দরম ওঁ নমঃ শিবায়” এই মন্ত্র সবার অন্তরে রয়েছে এবং আমরা সকলেই সেই মন্ত্রকে বুকে নিয়ে চলেছি, এই পৃথিবীর বুকে বেদযজ্ঞ করে মহাবিপ্লব
ঘটাবার জন্য। এই মহাবিপ্লব অন্তররাজত্বে ঘটলেই মানুষ নিজ আত্মার
সৎ সত্য সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ দেখতে সক্ষম হয় এবং নিজেকে আর
জীবরূপে দেখতে পায় না, নিজের রূপ শিবরূপে পরিণত হয়। নর যখন নারায়ণ হয়ে যান তখনি
তিনি দেবতার আসন লাভ করে জগতের সবার মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারেন। এই
অবস্থায় দেহধারী মানুষের অন্তরে সব ভেদাভেদ মুছে যায়। প্রাণের ধর্ম প্রাণ পালন করে
আর মানব আত্মার ধর্ম আত্মা পালন করে, সর্বভূতে নিজেকে সে দেখতে পায় শিব রূপে।
মহাসত্যের কোলে বসে নিজেকে মহাজ্ঞানীরূপে দেখতে পেয়েও তিনি কাউকে ধরা দেন না, কেবল
নিরবে বেদযজ্ঞের মাধ্যমে জগতের সবার মঙ্গল করে চলেন। এই মহাসাধকদের ধর্ম কর্ম জীবন
এক সুরে চলে, সেই সুর হলো বেদের সুর—“ওঁ সত্যম শিবম সুন্দরম ওঁ নমঃ শিবায়। এই
বেদের সুর হলো সারা বিশ্বে সত্য, শান্তি, ঐক্য ও সাম্য প্রতিষ্ঠার সুর। এই সুর
নিয়েই ব্রহ্মাণ্ডের বুকে আমরা দেখতে পায় একতার সুন্দর এক বন্ধন। এই চিরসত্য বেদের
জ্ঞানের মধ্যে নাই কোন দলাদলি- নাই কোন বৈষ্যমের নীতি, নাই কোন জাতি- ধর্মের মধ্যে
ভেদাভেদ। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment