Thursday, 15 February 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০১) তারিখঃ-- ১৫/ ০২/ ২০১৮

  বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০১) তারিখঃ—১৫/ ০২/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে ব্রহ্মপুরুষ শিবের ন্যায় আদ্যাশক্তি মহাকালীর চরণতলে পড়ে থাকো শব হয়ে, তাহলেই শিবতত্ত্ব জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে জীব থেকে শিবে পরিণত হবে।]
বেদযজ্ঞ করবে জীব হয়ে শিব হবার জন্য। ব্রহ্মপুরুষ শিব আদ্যশক্তি মহামায়ার চরণতলে পড়ে আছেন শবের ন্যায় তাঁর অধীন হয়ে। পুরুষ শুধু  অধ্যক্ষ, দ্রষ্টা বা ঈক্ষণকারী। মহাপ্রকৃতি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডময় নিয়ত নৃত্যশীলা বা ক্রীড়াপরায়ণা। মহাশক্তির বাসস্থান শ্মশান। শ্মশান বলতে শবের শয়ন স্থান। কর্মফল ভোগান্তে জীবের শেষ বিশ্রাম স্থান শ্মশান। সেই শ্মশানে মা কালী বাস করেন। কল্পান্তে তাঁর আশ্রয়ে সকলে বিশ্রাম পায়। আমাদের প্রাত্যহিক প্রলয়ে অর্থাৎ সুষুপ্তিকালেও আমরা যোগনিদ্রারূপিণী ঐ কালিকার স্নিগ্ধ শীতল ক্রোড়ে শান্তিলাভ করি।
 ব্যাধি, সন্তাপ, বিরহ, বেদনা, উদ্বেগ সর্বতোভাবে মুছিয়ে দেন ঐ শ্মশানবাসিনী জননী কালিকা। জননীকে বলা হয়েছে ভীষণ বদনা—“ করালবদনাং ঘোরং”—বিকট করালদংষ্টাসমন্বিতা। দেখলেই মহাভীতির উদয় হয়। সাথে সাথেই বলা হয়েছে—“ সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরানন- সরোরুহাম”—সুখাতিশয্য হেতু সুপ্রসন্ন বদনমণ্ডল। মুখপদ্মে মৃদু হাসি শোভমান। একই কালে বিরুদ্ধতার নিরুপম সমাবেশ। আসুরিক শক্তির সাথে যুদ্ধের সময়—“চিত্তে কৃপা সময়নিষ্ঠুরতা চ দ্রষ্টা” – এক অনির্বচনীয় ভাব। কালিকারূপিণী এই মহাশক্তি নিখিল বিশ্বের যাবতীয় নরনারীর পরমা জননী। ইনি প্রসবিত্রী, ধাত্রী, পালয়িত্রী। এক সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম ছাড়া নারীকে কেউ দেবীর স্থানে বসিয়ে পূজা করেন না। তাঁরা এই মহামায়ার কায়াকে ভোগ্যবস্তু বলে কেবল ভোগ করেন। তাঁরা মা কালীর মায়ার বিজ্ঞানের রহস্য না জানার জন্য চিরকাল অজ্ঞান- অন্ধকারেই আবদ্ধ থেকে কেবল জন্ম- মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে থাকেন। জয় বেদযজ্ঞের জয়। জয় মা কালী—জয় মা তারা- জয় মা কালী জয়।

No comments:

Post a Comment