বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৯১) তারিখঃ- ০৫/ ০২/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বিশ্বমানব শিক্ষার
কর্মী হয়ে বেদযজ্ঞ করলে মানুষকে কোন গ্রহ দোষ স্পর্শ করতে পারে না, এমনকি রাহুও
গ্রাস করতে পারে না।]
মানব
দেহ কাম- ক্রোধ- লোভ- মোহ ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। এগুলি ছাড়া মানব দেহ গঠিত হতে পারে
না। এগুলির নিজস্ব কোন রূপ বা তেজ নেই। মানুষ নিজের জ্ঞান দ্বারা এদেরকে যেমন খুশী
রূপে- গুণে ভূষিত করতে পারে। ধন- দৌলত- সম্পত্তি ইত্যাদি এই কাম- ক্রোধ- লোভ-
মোহের ফসল। এই ফসলগুলি দ্বারা মানুষ মহৎ হতে পারে আবার অধম নরকের কীট রূপে প্রকাশ
পেতে পারে। এই সম্পদগুলি যখন-ই মানুষ নিজে কুক্ষিগত করে রাখতে চায় তখন-ই তাকে রাহু
গ্রহ গ্রাস করতে এগিয়ে আসে। সম্পদের প্রতি মোহ জন্ম নিলে-ই মানব দেহ থেকে জ্ঞান-
বিকেক লোপ পায়। সম্পদের জ্ঞানকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে। যখন
একেবারে ধ্বংসের পথে নেমে যায়, তখন মানুষের বিবেক জাগে। এর কারণ হলো রাহুর গলা
কাটা—তাই সে সবকিছু হরণ করে মানুষকে নুতনভাবে দেখতে চায় বিশ্বমানব শিক্ষার
কর্মীরূপে ঈশ্বরের জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরে বা বিশ্বমানব শিক্ষা পুরীতে। রাহু তার কাজের মাধ্যম
দিয়ে মানুষকে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়, “ তোমার ধন- দৌলত- সম্পত্তি- অর্থ এসব তোমার অহংকার প্রকাশ করে জীবন
স্রোতকে স্তব্ধ করার জন্য নয়। তোমার যাকিছু বাইরের জগতের সম্পদ সবকিছুই আত্মার
প্রকাশ- বিকাশ ঘটাবার জন্য। তোমার জীবন ধারণের জন্য যেটুকু প্রয়োজন তা গ্রহণ করে
বাকী ধন, সম্পত্তি, অর্থ অন্য জনের আত্মপ্রকাশ ঘটাবার জন্য ব্যয় কর বিশ্বমানব
শিক্ষার কর্মী হয়ে। মনে রাখবে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী সকলকে কিনতে পারে কিন্তু
তাঁকে কেউ কোন মূল্যেই কিনতে পারে না। বৃথা এগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে সময় অপচয় করবে না। আমার প্রতীকের দিকে
লক্ষ্য কর, আমার
শুধু মাথা আছে দেহ নেই। আমি ধনকুবেরের ন্যায় ধনী হয়েও কোন কিছুর প্রতি আসক্ত নই।
কেবল পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়কে ধরে রেখে আমি সাধনা করে যাচ্ছি, সকলকে ঈশ্বরের জ্ঞান-
বিজ্ঞানের ঘরের কর্মী করার জন্য। সেই শিক্ষা দেবার জন্য আমি মানব দেহে অধিষ্ঠান
করি পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়ের মধ্যে। যিনি সবকিছুর মালিক হয়েও কিছু গ্রহণ করেন না,
তিনি-ই জগতে সুখী”। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment