বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(১৯৭) তারিখঃ—১১/ ০২/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ--
[বেদ যজ্ঞের দ্বারা হংসবিদ্যাকে জেনে আত্মদর্শন করে ব্রহ্মজ্ঞানী হও।]
আমাদের দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে ততক্ষণ বেদ
যজ্ঞ আমাদের অজানতে চলছে। আমরা শ্বাসে প্রশ্বাসে হংস মন্ত্র জপ ও অনুধ্যান করে
চলেছি তা অনেকের অজানা। এটি হলো অজপা গায়ত্রী মন্ত্র—যা মানুষ দিবারাত্র মিলিয়ে
নিজের অজানতেই নিজ চেতন প্রয়াস ছাড়াই ২১৬০০ বার জপ করে চলেছেন। শ্বাসে(অ) হং এবং
প্রশ্বাসে স এই জপ ছাড়া মানুষের দেহে প্রাণ অবস্থান করতে সক্ষম হয় না—আর এই জপ
যজ্ঞ বা বেদ যজ্ঞ হয়ে চলেছে বলে মানব দেহ সচল ও সচেতন হয়ে থাকে। চেতনভাবে মানুষ
যখন এই হংস বিদ্যাকে কাজে লাগাতে পারে তখনি মানুষ চৈতন্যময় হয়ে উঠে। এই সাধনা খুব
সহজ, সামান্য স্মৃতিতে ধরে রেখে তাতে লীন হতে পারলেই –মানুষ সাক্ষাৎ আত্মদর্শন করে
ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে উঠতে পারেন—আর কোন পূজা তন্ত্র- মন্ত্র জানার তাঁর প্রয়োজন হয়
না। ব্রহ্মাগ্নি বলয়ের মধ্যে অবস্থান করে বেদসূর্য হয়ে নিজেকে দেখতে পাওয়া সাধকের
এটা চরম প্রাপ্তি। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। হরি ওঁ তৎ সৎ
No comments:
Post a Comment