Thursday, 1 February 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ১৮৭ তারিখ -- ০১/ ০২/ ২০১৮

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৮৭) তারিখঃ—০১/ ০২/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ তোমাদের মধ্যে যে ব্রহ্মাগ্নি রয়েছে তা বেদযজ্ঞ করে ধুম্রাকারে চিন্তারূপে বের করো, দেখবে মন থেকে সমস্ত আজে –বাজে চিন্তা দূর হয়ে যাবে, তুমিও একদিন ব্রহ্মর্ষিদের মধ্যে গণ্য হবে।]
জীব দেহে সূর্যের অগ্নি আছে তা আমরা দেহের তাপমাত্রা দেখেই উপলব্ধি করতে পারি। যদি আমাদের দেহে সূর্য না থাকতো তবে এই দেহ শীতল হয়ে যেত। তেমনি আমাদের দেহে যদি ব্রহ্মাগ্নি না থাকতো তবে আমাদের চিন্তাশক্তি বা চেতনা লুপ্ত হয়ে যেতো। সৌরশক্তি জীবদেহকে সচল করে রাখে মনের সাথে  প্রাণশক্তির সঞ্চালনের দ্বারা। আর ব্রহ্মশক্তি জীবদেহের চেতনাকে মনের সঙ্গে যুক্ত করে রাখে আত্মশক্তির দ্বারা। সৌরশক্তি পার্থিব জগতের জ্ঞান- বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত। আর ব্রহ্মশক্তি আত্মিক জগতের জ্ঞান- বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত। এই দুই শক্তিই জীব দেহে বিরাজ করেন। বেদযজ্ঞ করলেই ব্রহ্মাগ্নি ধুম্রকারে চিন্তারূপে বের হতে থাকে, তা হলো ঊর্ধ্বগামী চিন্তা। আর যজ্ঞ না করলে যে চিন্তা মন থেকে বের হতে থাকে তা হলো জলের ন্যায় নিম্নগামী। এই চিন্তা নিচের দিকে ধাবিত হয়ে সূর্য তেজে বাস্পাকারে উপরে উঠে যাবে, কিন্তু আবার তা ফিরে আসতে বাধ্য হবে। তাই জীব সহজে জন্ম- মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে না। বেদযজ্ঞ করলেই মানুষের অন্তরে ব্রহ্মাগ্নি প্রজ্জলিত হয়ে উঠে, তখন মানুষ ব্রহ্মের অধীনে থেকে ব্রহ্ম হয়ে যান। এই অবস্থায় তাঁর মনে কোনরূপ ঈশ্বরকে নিয়ে সন্দেহ যেমন আসে না তেমনি মনে আজে- বাজে চিন্তায়ও আসে না। এই ব্রহ্মর্ষিদের সমস্ত কথায় বেদবাক্য। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment