Saturday, 10 February 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ১৯৬ তাং ১০/ ০২/ ২০১৮


 বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৯৬) তারিখঃ—১০/ ০২/ ২০১৮           আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ--[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে জ্ঞান দান করার মতো পবিত্র দান ও কর্ম দ্বিতীয় নেই। তাই প্রয়োজনে ভিক্ষা করেও এই কর্মে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করো।]
মানুষকে জড়বুদ্ধি থেকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র সত্য জ্ঞান। জড়বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা- ভক্তি- প্রেম- বিশ্বাস থাকে না। তাদেরকে সত্য কথা বললেও তারা বিশ্বাস করতে পারে না সত্যকে। সত্যজ্ঞানী তাদের কাছে ঠাট্টা –তামাশার পাত্র মাত্র। বেদ- কুরাণ- বাইবেল- গীতা তাদের কাছে তুচ্ছ জ্ঞানের বই। আমি নিজে হাজার হাজার এম-এ, বি-বিএ পাশ ছেলে মেয়ের সাথে কথা বলেছি এবং দেখেছি, তাদেরকে এমনভাবে জড় বুদ্ধি আক্রান্ত করে রেখেছে যে তারা কিছুতেই নিজেদের জীবনের জাতীয় মর্যাদা, মানবিক মুল্যবোধ, ন্যায়- নীতি –আদর্শের মূল্য ও নিজের আত্মিকজ্ঞানের মূল্যকে স্বীকার করতেই চাই না। অদ্ভুত এক মিথ্যা মোহজ্ঞানের কবলে পড়ে, জীবনকে নিয়ে হতাশায় ভুগছে তখচ কেউ সত্যের আঙিনায় এসে নিজের সৎ - সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় জীবন গড়ে তোলার সামান্যতম আগ্রহ টুকু দেখাচ্ছে না।
  এই পৃথিবী মানুষের জন্য স্বপ্নের বাজার মাত্র, আবার অন্যদিকে এটাই মানুষের মুক্তির জন্য কর্মভূমি ও জ্ঞানপীঠ।  এই বাজারে বেড়াতে এসে নিজের পথ নিজেকেই তন্ন-তন্ন করে খুঁজে নিতে হবে। রামায়ণে পড়েছি রাবণের দশটি মাথা ছিল। কথাটির রূপক বাদ দিলে জানা যায় রাবণের সর্বদা দশদিকে দৃষ্টি ছিল। সর্বদা নিজেকে সতর্ক রেখে অন্ধকার প্রদেশ থেকে তিনি উঠে এসে শ্রীরামচন্দ্র অর্থাৎ ভগবানের চরণে নিজেকে বলি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই এই স্বপ্নের বাজারে বেড়াতে এসে একটু ভুল পথে গেলেই পা পিছলে এমন গাড্ডায় পড়ে যাবার সম্ভাবনা, যেখান থেকে উঠে আসা এক দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠবে। তাই এখানে এসে প্রতি পদক্ষেপে জানতে হবে নিজেকে ও নিজের পথকে। কেউ এখানে সঠিক পথের সন্ধান জানে না—তাই কেউ সঠিক পথের সন্ধান দিতেও পারবে না। তাই নিজেকে নিজের পথের সন্ধান করে নিতে হবে। এর কারণ একটাই এখানে এসে সকলেই স্বপ্নের বুড়ীর যাদু কাঠির ছোঁয়ায়, মায়া-মোহের নাগ-পাশের বন্ধনে আবদ্ধ, ভবরোগে আক্রান্ত, রাহু-কেতুর গ্রাসের  কবলে পড়ে অন্ধকার গৃহে আবদ্ধ হয়ে, জড়বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে, সঠিক পথের সন্ধান হারিয়ে ফেলে। সবাই এখানে এসে স্বপ্নের বুড়ীর বাজার মাত করে, ফিরে যাবার কথা কেউ ভাবতেও পারে না। তাই পরিশেষে এই জড়বুদ্ধিসম্পন্ন লোকদের শূন্য হাতেই ফিরে যেতে হয় এই কর্মভুমি ও জ্ঞানপীঠ থেকে।  জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment