Wednesday, 14 February 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০০) তাং ১৪/ ০২/ ২০১৮

       বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২০০) তারিখঃ—১৪/ ০২/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে হৃদয় গুহার শিবলিঙ্গকে জাগ্রত করে জীবকে নিজের কল্যাণ নিজেকে করে, উদ্ধার হতে হয়।]
ভগবান জীবের উপর কৃপা করে তার নিজের কল্যাণ সাধনের জন্য মনুষ্য শরীর দিয়েছেন। “যত্র জীব তত্র শিব” এটা সত্য হলেও কেবল মানব দেহ সাধনার দেহ, বাকী সকল জীব দেহ কেবল কর্মফল ভোগ করার জন্য। তাই নিজের কল্যাণ সাধন করা ছাড়া মানব জন্মের দ্বিতীয় কোনও প্রয়োজনই নাই। শরীর, ধন- সম্পদ, জমি- বাড়ি, -স্ত্রী- পুত্র ইত্যাদি জাগতিক বিষয় তার সমস্তই লাভ করতে হয় শিবকে লাভ করে নিজের কল্যাণ সাধনের জন্য। যদি কেবল এগুলি লাভ হলো আর শিবের দর্শন হলো না, তবে তো শিবহীন যজ্ঞ হয়ে গেল। তাই যে যতই ধনী হয়ে উঠুক, বলশালী হয়ে উঠুক, বিদ্বানে পরিণত হোক, উচ্চপদস্থ কর্মী হোক, কিংবা বহু আত্মীয়- স্বজনসম্পন্ন হোক, বর বিনা বরযাত্রী- দলের মতো, তার সমস্ত সাংসারিক ভোগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। মানুষ তো ক্ষুদ্র জীব, প্রজাপতি দক্ষ শিববিহীন যজ্ঞ করতে গিয়ে নিজের অকল্যাণ নিজেই ডেকে এনেছিলেন। এই জন্য মানুষের আসল কর্তব্য হল—নিজের কল্যাণ সাধন করা সমস্ত প্রকার অহংকার বিসর্জন দিয়ে। প্রত্যেক নরদেহ নারায়ণের মন্দিরে পরিণত হতে পারে, যদি মানুষ নিজের কল্যাণে নিজে সচেষ্ট হন। আমি শিবের অংশ হওয়ার ফলে কেবল ভগবানই আমার নিজের। ভগবান ছাড়া আর কেউ আমার নয়। এইভাবে ভগবানকে আপনবোধে মেনে নিলেই মানুষ ভক্ত হয়ে যায়।  দেবাত্মা, মহাত্মা, পুণ্যাত্মা,ধর্মাত্মা, বেদাত্মা,যোগী, জ্ঞানী ও ভক্ত হওয়ার মধ্যেই মানুষের পরম কল্যাণ নিহিত রয়েছে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।  ওঁ সত্যম শিবম সুন্দরম ওঁ নমঃ শিবায়। জয় মহাশিবরাত্রি।

No comments:

Post a Comment