Tuesday, 18 July 2017

বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ-- ১৮/ ০৭/ ২০১৭

বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—১৮/ ০৭/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পশ্চিমবঙ্গ*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে মা কালীর পরমা মুর্তির অমৃত আস্বাদন করে মানব জীবন ধন্য কর।]
আমাদেরকে বেদযজ্ঞ করেই মা কালীকে সন্তুষ্ট করতে হয়। মায়ের পিছনে আলুলায়িত কেশরাশি যেন একটি যবনিকা। পিছনটা ও মধ্যটা আমাদেরকে তিনি দেখতে দেন না। “ যাম্যেন চাভবৎ কেশঃ”—যমের শক্তি হতে কেশ উৎপন্ন হয়েছে। জীবনটাকে রহস্যময় করে রেখেছেন মৃত্যুর আবরণ দিয়ে, কোন বৈচিত্র্যময় জগতের চরম তত্ত্বকে রহস্যাবৃত করে রেখেছেন, সত্যকে জানার আগ্রহ- উৎসাহ অন্তরে জাগ্রত করার জন্য। কালিকাদেবীর অঙ্গবর্ণ কৃষ্ণ। অনন্ত অন্ধকারই কালীর যথার্থ রূপ। ঋকবেদ বলেছেন—“তম আসীৎ তমসা গূঢ়মগ্রে”, আদিতে অন্ধকার গূঢ়ভাবে লুক্কায়িত ছিল। আদিতে ছিলেন বলেই তো তিনি আদ্যাশক্তি। আদ্যাশক্তি বলেই তিনি অন্ধকার বর্ণা। মৃত ব্যক্তির ছিন্ন হস্ত দ্বারা একটি মেখলা। হস্ত কর্মশক্তির আধার। জীবগণের কর্মফল মহাকালের অবিদ্যার অংশে আশ্রয় নেয়। ঐ কর্মফল- বশতঃই তাদের আবার জন্ম হবে। জীবের অভুক্ত কর্মফল প্রলয়ে মহাপ্রকৃতির গর্ভে নিহিত থাকে, পরবর্তীকল্পে ভোগের নিমিত্ত। তাই মহামায়ার কটিতে নৃ- করমালা দোদুল্যমান।
জননী ত্রিনয়না। ত্রিনয়নে চন্দ্র, সূর্য এবং অগ্নি অন্ধকার বিধ্বংসী এই তিন শক্তির বিকাশ। তিন নয়নে মাতা তিন কাল দেখেন। সত্য, শিব ও সুন্দরকে প্রত্যক্ষ করান। মায়ের বক্ষস্থিত উন্নত স্তন ক্ষীর- পরিপুর্ণ। এক স্তন দ্বারা জগৎ পালন করেন আর এক স্তন- ধারায় সাধকগণকে পরমা মুর্তির অমৃত আস্বাদন করান।  জননীর রক্তবর্ণ জিহ্বা রজোগুণের সূচক। শুভ্রতা সত্ত্বগুণের প্রতীক। শুভ্র- দন্তের দ্বারা রসনা দংশন করে সাধকদিগকে সত্ত্বগুণের দ্বারা রজোগুণকে সংহত রাখতে শিক্ষা দিচ্ছেন মা। জয় বেদযজ্ঞের জয়। জয় মা কালী-- জয় মা তারা- জয় মা কালী জয়। 

No comments:

Post a Comment