বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৬৪) তারিখঃ—০৯/
০১/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ অবতার, মহামানব,
নবীরা কেউ নতুন ধর্মের সৃষ্টি করার জন্য অবতীর্ণ হন না, তাঁরা সকলেই অবতীর্ণ হন
মানব সমাজ থেকে পাপ ও অন্যায়কে বিলুপ্ত করে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্য।]
এক সনাতন
ধর্ম, যা বিশ্বমানবের ধর্ম, তাছাড়া দ্বিতীয় কোন ধর্ম মানুষের জন্য নাই। সনাতন ধর্ম
ছাড়া মানব সমাজে যে সমস্ত ধর্ম প্রচলিত তা মানব সৃষ্ট, ঈশ্বর কর্তৃক মানুষের জন্য
স্বীকৃত নয়। তাই সনাতন ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মে অবতার বলে কেউ থাকতেও পারেন না।
অবতার হলেন পরমাত্মার প্রতীক। সমস্ত আত্মার এক সম্মিলিত সত্ত্বা আছে যাকে
‘বিশ্বমানব’ বলা হয়। সেই-ই পরমাত্মা—সেই-ই বিশ্বরূপ—সেই-ই বিশ্বমানব। আর সেই
বিশ্বমানব-ই একমাত্র নিত্য বা সনাতন। মানুষ সব সময়ই সুখে থাকতে চায়। এই সুখে থাকার
জন্য নিজের সনাতন ধর্মকে ত্যাগ করতে মানুষের বিবেক জাগ্রত না হওয়ার জন্য দ্বিধাবোধ
হয় না। যদি মানুষ তার নিত্য সনাতন রূপকে দেখতে পেত তবে কিছুতেই ঈশ্বর নির্দেশিত
রাজপথ ত্যাগ করে অন্য পথে যেতো না। মানুষ সবসময় চায় তার সঙ্গে সবাই প্রেম ও
সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করুক। সে কখনোই চায় না তার সঙ্গে চুরি, তঞ্চকতা, কঠোরতা বা
অন্যায় হোক। এই ইচ্ছাই হল “বিশ্বমাবনের” ইচ্ছা। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্যই
অবতারের আবির্ভাব। অধর্ম অর্থাৎ বিশ্বমানবের ইচ্ছার প্রতিকুল কাজ যখন সংসারে বেড়ে
চলে, তখন তাকে দূর করার জন্য তাঁর অন্তঃস্থলে এক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বিরোধের
এক তুফান সৃষ্টি হয়। এই তুফানই অবতাররূপে প্রকাশিত হন। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment