Monday, 8 January 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ১৬৩ তাং ০৮/ ০১/ ২০১৮

  বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৬৩) তারিখঃ—০৮/ ০১/ ২০১৮
 আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ শুভ পরাক্রম, পুরুষার্থ, ইচ্ছা, সাহস, উৎসাহ এবং ধৈর্য্য এই সদগুণগুলিই মানুষ বেদযজ্ঞ করে লাভ করে থাকে, আর এই গুণগুলিই ঈশ্বরকে লাভ করার প্রকৃত পদক্ষেপ ও বেদের রাজপথ।]
  বেদের রাজপথ ধরে চললে অভীষ্ট সিদ্ধিলাভ করবে। যারা বেদের রাজপথ ছেড়ে দিয়ে অলি – গলির পথ ধরে নিজের রথ চালাতে যাবে তারা কোনদিনই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। বেদের ঈশ্বর সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ, ন্যায়কারী। তিনি কারো সাথেই সামান্যতমও পক্ষপাতিত্ব করেন না। যে যেমন পথে কর্ম করে সে তেমনই ফল ভোগ করে। আগুন অথবা বিদ্যুৎ থেকে যদি নিয়ম অনুসারে কাজ করা যায়, তাহলে তা মানুষের ব্যবহারিক জীবনে অনেক উপকারে আসে, কিন্তু যদি এর অপব্যবহার করা হয় তাহলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেইরকম যে বেদের নিয়মে বা ঈশ্বরীয় নিয়মে কর্ম করে, বেদ ভগবান তার কাছে বরদাতা, ত্রাতা, রক্ষক, সহায়ক, কৃপাসিন্ধু, ভক্তবৎসল, কিন্তু যে তাঁর নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করতে চায়, ঈশ্বর তার কাছে যম, কাল, অগ্নি, শঙ্কর, বজ্র এবং দুর্দৈব রূপে প্রকাশিত হয়ে থাকেন। মানুষকে স্বতন্ত্র বুদ্ধি দিয়ে ঈশ্বর তাকে স্বচ্ছন্দে কাজ করার উপযুক্ত করে গড়ে দিয়েছেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন নিজের হাতে। তাঁর বিচারে যে যেমন কার্য করে সে তেমনই ফল পেয়ে থাকে। আগুন ও কাঠকে একত্র করা বা না করা এ আমাদের ইচ্ছা, কিন্তু এই দুটি জিনিস একত্র হলে ঈশ্বরীয় নিয়মানুসারে যে অগ্নিকাণ্ড হবে তাকে রোধ করা মানুষের সাধ্য নয়। সেই প্রকার শুভ- অশুভ কর্ম করা আমাদের ইচ্ছাধীন কিন্তু তাতে যে ভালোমন্দ পরিণামের উতপত্তি হবে তা ঈশ্বরীয় নিয়ন্ত্রণ শক্তির প্রকাশ। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment