বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৭৫) তারিখঃ—২০/ ০১/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে মানসিক
দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে আত্মজ্ঞান ও আত্মশক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে
চলো।]
বিবেকহীনতার
জন্য মানুষ পরমুখাপেক্ষী ও পরাশ্রিত হয়ে যায় এবং নিজেকে সব দিক থেকে ব্যর্থ মনে
করে। বিবেকের চক্ষু দিয়ে না দেখতে শিখলে পুর্বপুরুষদের কাজের ভাল- মন্দ বিচার করার
ক্ষমতা মানুষ হারিয়ে ফেলে। শাস্ত্র বাক্যেও বিচারবুদ্ধির সঠিক প্রয়োগ করে তার
সত্যতাকে খুঁজে বের করে সত্যকেই গ্রহণ করাই হচ্ছে মানুষের বুদ্ধিমানের কাজ। মানসিক
দাসত্ব সকল প্রকারের দাসত্বের জননী। তাই মানুষকে শাস্ত্র –বাক্যের বা গুরু-বাক্যের
দাসত্ব করতেই হবে এমন কোন ঈশ্বরের সংবিধান নেই। তাই কোন শাস্ত্রের মিথ্যাজ্ঞানকে
গ্রহণ করলে মন পঙ্গু হয়ে যায়, আর মন পঙ্গু হলে মানুষ আত্মার শক্তি নষ্ট করে ফেলে।
কেনো আমি মিথ্যার দাসত্ব করবো? মিথ্যার দাসত্ব করলেই মানুষ আর সত্যকে দেখতে পায়
না। কারণ মিথ্যার মধ্যে মিথ্যায় থাকে, সেখানে সত্যের আলো থাকতে পারে না। তাই
মানসিক দাসত্বকে একপ্রকার মনোবৈজ্ঞানিক রোগ বলা যেতে পারে। আমাদেরকে এই সমাজে
বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই অর্থ- সম্পদ ইত্যাদি উপার্জন করতে হবে, কিন্তু কখনই
বিবেকহীন হয়ে মিথ্যাকে আশ্রয় করে নয়। যখনই আমরা বিবেকহীন হয়ে কোন কিছু উপার্জন
করতে যাবো তখনি আমরা সেই জিনিষের দাস হয়ে যাবো। ভারতের মাটিতে মানুষকে শিক্ষা
দেওয়া হতো মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য। কিন্তু বর্তমান ভারতে সকলেই
মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত হয়ে পাশবিক প্রবৃত্তির এক অদ্ভুত অনাচারের শিকার হয়ে পড়েছে
প্রকৃত শিক্ষার অভাবে। এই দেবভূমি ভারতের মাটিতে কতজন মানুষ আছেন যারা মানসিক
দাসত্বের শিকার নন? ভেবে দেখুন—ভাববার সময় এসে গেছে—আমাদেরকে কুৎসিত পরিবেশ ও
পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতেই হবে—সেই সাথে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে- সমাজকে—দেশকে
মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করতেই হবে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment