বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৮২) তারিখঃ—২৭/ ০১/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে মানুষের
অন্তর থেকে সমস্ত প্রকার বিদ্বেষভাব দূর করার জন্য মানুষকে কেবল সত্যজ্ঞানের কথা
শুনিয়ে সৎ ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে যাও।]
মানুষের
মনের শিক্ষাই হচ্ছে আসল শিক্ষা। ব্যাপ্তি ও পবিত্র মনে কোন প্রকার অপরাধ করার
চিন্তা বাসা বাঁধতে পারে না। তাই শিশুদের শিক্ষাদান কালে শিক্ষক যেমন ব্যাপ্তি
মনের অধিকারী হবেন সেরূপ সমাজের প্রত্যেকেই হবেন উচ্চমনের অধিকারী। মানব সমাজের
সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য শিশুদের স্বাধীনভাবে শিক্ষাগ্রহণ করার সর্বপ্রকার
ব্যবস্থা করা। কেউ কেবল নিজের সন্তানকেই যেন সন্তান ভেবে ভুল না করেন। আমি
বিশ্বমাতার সন্তান আর প্রত্যেক শিশুই আমার সন্তান এই ভাব জাগ্রত হলে, কোন শিশুই আর
অবহেলিত হবে না।
মানুষের
কোন জাত বা সম্প্রদায় থাকতে পারে না। সেজন্য জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে শিক্ষা-
দীক্ষা- চাকুরী বা কোন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার প্রবণতা মন থেকে ত্যাগ করতে হবে।
এমন কোন মনোভাব মানুষ মানুষের প্রতি দেখাতে যাবে না যা তাকে ছোট করে বা করুণা করে।
একই পিতা-মাতার সন্তান বিভিন্ন জাত বা সম্প্রদায়ের হতে পারে না। তাই মানুষের কোন
আলাদা জাত বা সম্প্রদায় থাকতে পারে না। সকলেই আমরা মানব জাতি। আমাদের প্রত্যেকের
ধর্ম এক—তা হলো মানব ধর্ম। আমাদের প্রত্যেকের ভাষা এক তা হলো মনের ভাষা –অন্তরের
ভাষা – আত্মার ভাষা। আমাদের প্রত্যেকের খাদ্য এক—তাহলো প্রাণের খাদ্য। আমাদের
প্রত্যেকের পোশাক এক তাহল দেহের আচ্ছাদন স্বরূপ জ্ঞানের পোশাক। আমরা প্রত্যেকেই
শোক- দুঃখ –ব্যাথা- বেদনা আনন্দ- উচ্ছ্বাস ইত্যাদি একই দেহে একই পদ্ধতিতে লাভ করে
থাকি। আমাদের প্রত্যেকের জন্ম একই পদ্ধতিতে – মৃত্যুও একই পদ্ধতিতে। রাজা- প্রজা-
ধনী- দরিদ্র- মহাপুরুষ –অবতার কেউ মানব ধর্মের উর্ধ্বে ও বাইরে যেতে পারেন না। এই
বেদের শিক্ষা শৈশবকাল থেকে প্রত্যেক শিশু লাভ করলে তার মনে কোন হিংসা- দ্বেষ –ছোট-
বড় ভাব জন্মাতে পারবে না। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment