Thursday, 11 January 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ১৬৬ তাং ১১/ ০১/ ২০১৮

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৬৬) তারিখঃ—১১/ ০১/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমেই মানুষকে ব্রাহ্মী স্থিতি বা ব্রহ্ম নির্বাণ লাভ করতে হয়।]
  সনাতন হিন্দু ধর্মে, পৌরাণিক গ্রন্থে ব্রহ্মার স্বরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে ব্রহ্মার চার মুখের কথা বলা হয়েছে। এ হল পরম সত্ত্বার এক আলংকারিক চিত্র। চার মুখ চার ভেদের দিগদর্শন করায় সাধককে। এই চার মুখকে (১) ব্রহ্ম (২) ঈশ্বর (৩) বিষ্ণু ও (৪) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলা হয়। পরমাত্মা তো একই, কিন্তু তার দ্বারা উৎপন্ন বিশ্ব ব্যবস্থাকে বোঝানোর জন্য চার বিভাগ করা হয়েছে।
ব্রহ্ম--- সাত্ত্বিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়কে ব্রহ্ম বলা হয়। পরমাত্মা সত্বঃ রজ, তম এই তিনের মধ্যেই বিদ্যমান, কিন্তু এর ব্রাহ্মী জ্যোতি সদগুণেরই অন্যতম অংশ। সাত্ত্বিক ভাব ব্রহ্ম কেন্দ্র থেকেই উৎপন্ন হয়। মানুষের মনে অনেক প্রকার ইচ্ছা উৎপন্ন হতে থাকে, কিন্তু যখন সত্ত্বগুণের আকাঙ্ক্ষা উৎপন্ন হয় তখন এই উদগম কেন্দ্রের প্রেরকবিন্দু ব্রহ্মই হন। ঋষি, মহাত্মা, সন্ত, সৎপুরুষের মধ্যে আমরা পরমাত্মারই অধিক অংশ দেখতে পাই। তাঁরা পরমাত্মার নৈকট্য ও তাঁর কৃপা অনুভব করেন। পরমাত্মার বিশেষ সত্ত্বা তাঁদের মধ্যে বাস করেন। এই সৎ প্রভাবের আধিক্যই ‘ব্রাহ্মী স্থিতি’। পূর্ণ সাত্ত্বিকতাতেই যিনি অধিষ্ঠিত তাঁকে ‘ব্রহ্ম নির্বাণ’ প্রাপ্ত ব্যক্তি বলা হয়। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment