[ ঋষির দেওয়া সিদ্ধাসনে বসে
ঋষির ন্যায় বেদযজ্ঞ বা সাধনা করবে সিদ্ধি লাভ করার জন্য।]
ঋষির দেওয়া সিদ্ধাসনে বসে
দিনে অন্তত একবারও নিজ আত্মার ধ্যান করবে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে। তাহলেই
উপলব্ধি করতে পারবে তোমার আত্মার রহস্য। এই সিদ্ধাসনে বসার সাথে সাথে তুমি পবিত্র
সত্তা হয়ে সত্যজ্ঞান লাভ করতে থাকবে এবং এই জগতের দুঃখ –অশান্তি- জ্বালা- যন্ত্রণা
থেকে মুক্ত হয়ে এক অনাবিল আনন্দজগতে অবস্থান করবে। এই সিদ্ধাসনে বসে বেদের ঋষির
ন্যায় বেদ যজ্ঞ করে সদায় কল্যাণকর বাক্য শুনবে এবং কল্যাণকর বাক্য সকলকে শোনাবে। ঋষির চোখ –সদায় কল্যাণকর বস্তু দেখে এবং সকলকে সেই
কল্যাণকর বস্তু দেখবার প্রেরনা দান
করে। সকলে যাতে সুস্থ দৃঢ় মন ও শরীর লাভ করে বেদ ভগবানের উপাসনা করতে
পারে সেই প্রার্থনায় ঋষির প্রার্থনা। ঋষিদের প্রার্থনায় নিজের কোন কামনা- বাসনা – চাহিদা থাকে না। ঋষির আসন অপৌরুষেয় কর্ম-
কর্তার আসন। তাঁদের শ্বাস – প্রশ্বাস
বেদশাস্ত্রের সাথে এমনভাবে যুক্ত –থাকে যে –বেদ –ভগবান ও ঋষির
মধ্যে কোন ভেদ থাকে না। ঈশ্বরের সকল কথা, সকল কার্য,
সকলই যেমন মঙ্গলকর সকলের জন্য তেমনি ঋষির বাক্য, ঋষির কার্য সকলই
কল্যাণময় সকলের তরে।তাই ঋষির
দেওয়া সিদ্ধাসন জগতের যে কোন মূল্যবান বস্তু থেকেও মূল্যবান ও দুর্লভ। সেই
সিদ্ধাসন যিনি লাভ করবেন, কেবল তিনিই সেই সিদ্ধাসনে বসে সিদ্ধিলাভের পথে এগিয়ে
যেতে পারবেন, দ্বিতীয় কোন জীবের বা মানুষের বা সাধকের সেই আসনে বসে সাধনা করার
অধিকার থাকে না। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment