Saturday, 16 June 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান৩১৪ তাং ১৬/ ০৬/ ২০১৮


  বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৩১৪) তারিখঃ—১৬/ ০৬/ ২০১৮                                                                       আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ--[ বেদ যজ্ঞ করে স্রষ্টার জ্ঞানের পতাকা বহন করো তাঁর সৃষ্টির সবার কল্যাণের জন্যে।]
এক ঈশ্বর সকলের স্রষ্টা। তিনিই সকলকে তাঁর ব্রহ্মবৃত্তে আশ্রয় দিয়ে ধারণ করে আছেন। মায়ের কাছে যেমন জ্ঞানী- মূর্খ- পাগল- বদমাশ সব সন্তান আদরের ও তিনি সবার দুঃখে কাতর ও সুখে আনন্দ অনুভব করেন ঠিক তেমনি ঈশ্বর সবার জন্য সমান। তিনি সবার চিত্ত বিনোদনের যথেষ্ট উপকরণ সৃষ্টি করে রেখেছন। মানুষ তাঁর সেই উপকরণ নিয়েই পাগল। কেউ তাঁর সত্যকে নিয়ে মিথ্যার উপর আঘাৎ হানতে চায় না। সত্যের আঘাতেই মিথ্যা চূর্ণ- বিচূর্ণ হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তখনি মানুষের অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলে উঠে। ঈশ্বর মানুষকে সদায় তাঁর দিকে ডাকছেন কিন্তু কজন মানুষ তাঁর ডাক শুনে সেই দিকে এগিয়ে চলেছেন। ছেলে –মেয়েরা যেমন খেলার সামগ্রী পেলে আর সেই খেলা ছেড়ে তাদের মায়ের ডাক শুনতে পায় না ঠিক তেমনি মানুষ এই পৃথিবীর বিনোদনের উপকরণ পেয়ে আর কেউ তাঁদের ঈশ্বরের ডাক শুনতে পান না। যদি মানুষ তাঁর স্রষ্টার ডাক শুনতে না পান তবে তিনি তাঁদের ডাকে সারা দিবেন কিভাবে? সারা দিলেও তো তারা কালা- বোবার ন্যায় কিছুই শুনতে ও বুঝতে পারবেন না। তাই নিজের স্রষ্টাকে জানতে হলে বেদ যজ্ঞ করে আগে নিজেকে জানতেই হবে তাঁর সন্তান রূপে। যখনি এই সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়ে যাবে তখনি পিতার কথা পুত্র ও পুত্রের কথা পিতা বুঝতে পারবেন অতি সহজ সরল ভাবে। পরমাত্মার পুত্র হচ্ছেন আত্মা। পুত্র বা শিষ্যকে সত্যজ্ঞান একমাত্র সদগুরু বা পরমপিতাই দিতে পারেন। পিতা তাঁর সম্পদ তাঁকেই দান করেন যে সন্তান তাঁর সম্পদ রক্ষা করে সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার যোগ্যতা দেখাতে পারেন তাঁর কাছে। লোভে- মোহে যে সন্তান অমৃতবাহিনী সাগরে বেনোজল প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেন তাঁকে পরমপিতা কিভাবে বিশ্বাস করবেন?  ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।


No comments:

Post a Comment