Sunday, 24 June 2018

কুরআন সুরা -২ আল-বাকারা -- আয়াত ৮৩

 বিশ্বমানব শিক্ষায় পবিত্র কুরআনের আলো। [ সুরা-২, আল- বাকারা ৮৩ থেকে ৯৩ আয়াত]
৮৩) স্মরণ কর ( সেই সময়ের কথা) যখন বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে আমি অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়- স্বজন, এতিম ও দরিদ্রের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে, যথাযথভাবে নামায প্রতিষ্ঠিত করবে এবং যাকাত প্রদান করবে। কিন্তু স্বপ্ল সংখ্যক লোক ব্যতীত তোমরা সকলে( এ প্রতিজ্ঞা পালনে) বিমুখ হয়ে গেলে।
  ৮৩ নং আয়াত পাঠ করে স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে যে আল্লাহ্‌ হচ্ছেন মানুষের অন্তরের আত্মার জ্ঞান- শক্তি- সত্য-প্রেম- বিশ্বাসের এক প্রাচীন সূত্র বা বলয়। এই সূত্র বা বলয়ের সাথে মানুষ যুক্ত থাকতে পারে তাঁকে দৃঢ়ভাবে পূজার আসনে বসিয়ে, নিজেকে শ্রদ্ধাশীল ও প্রেমময় করে। এই আত্মাই হচ্ছেন সকলের আল্লাহ্‌, তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে পূজা বা ইবাদত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরে পরেই বলা হয়েছে মাতা- পিতা, আত্মীয়- স্বজন, এতিম ও দরিদ্রের প্রতি সদ্ব্যবহার করতে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করতে। এর কারণ এরা সকলেই আত্মার প্রাচীন বন্ধু এবং অন্তরের আল্লাহ্‌স্বরূপ জ্ঞান ও শক্তির সাথে যুক্ত। তাদেরকে বাদ দিয়ে আল্লাহ্‌র ইবাদতে কোন ফল হয় না। তারপরে বলা হলো, যথাযথভাবে নামায প্রতিষ্ঠিত করতে এবং যাকাত দিতে। নামায এর অর্থ এখানে পবিত্র জ্ঞানকে অন্তরে প্রতিষ্ঠিত করা। আর যাকাত দেওয়ার অর্থ নিজে জ্ঞানী হয়ে সেই জ্ঞান দান করা। কিন্তু দেখা গেল- এই সত্য খুব অল্প সংখ্যক লোক মেনে চললো, বেশীরভাগ লোক যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে গেল। তাহলে এখানে স্পষ্ট যে আল্লাহ্‌ ও সত্য বিমুখ জাতি হয়ে রয়েছে বিশ্বজুড়ে এক বিশাল মানব সমাজ, অথচ তারাই কুরআন নিয়ে গর্ব করে।

No comments:

Post a Comment