বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৩১২) তারিখঃ—১৪/ ০৬/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে মানব জাতিকে সঙ্ঘবদ্ধ করে
মিথ্যাজ্ঞান থেকে মুক্ত করো।]
মানুষের জ্ঞান না থাকলে যত ক্ষতি হয়, তার
থেকে অধিক ক্ষতি হয় মিথ্যাজ্ঞান থাকলে। এই মিথ্যাজ্ঞানী লোকেরা আসুরী স্বভাবের হয়ে
থাকে এবং তাদের অন্তরে একটি বিষয়ে সুদৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, এই সৃষ্টির যাবতীয় বস্তু
হচ্ছে, তাদের কামভোগের জন্য। কামভোগই তাদের জীবনের পুরুষার্থ। এদের চিত্ত সর্বদা
কামভোগের বস্তুর চিন্তায় ভরপুর। বহুবিধ কল্পনায় এঁদের চিত্ত ক্ষিপ্ত, মোহজাল জড়িত
ও বিষয়াসক্ত হয়ে থাকে। তাই তারা জীবকে হিংসা করে, সকল মানুষকে বিদ্বেষ করে, আমাকেও
বিদ্বেষ করে, কারণ আমি তো সকল দেহেই আছি, তার দেহেও আছি( মামাত্মপরদেহেষু, ১৬/১৮)।
আমি আলো—যে আলোকে বিদ্বেষ করে, সে তো অন্ধকারেই থাকবে—নরকে পচবে। এই আসুরভাবাপন্ন
ব্যক্তিরা যে কেবল অজ্ঞানে ডুবে আছে তা নহে। এদের এই মিথ্যাজ্ঞানকে গীতাতে
মোঘজ্ঞান বলা হয়েছে। এই মোঘজ্ঞান অর্থ ব্যর্থজ্ঞান। এদের কারো কারো পাণ্ডিত্যও
থাকে। কিন্তু এদের সকলই ভস্মে ঘৃতাহুতি, ব্যর্থ, মিথ্যা। এই সকল লোক বিকৃতবুদ্ধি ও
ক্ষুদ্রমতির হয়ে কেবল পশুর ন্যায় বংশবৃদ্ধি করার জন্যই জীবন অতিবাহিত করে। এদের
দ্বারা জগতের হিতকার্য্য কিছুই হয় না, যা কিছু করে সকলই ব্যর্থ ( মোঘকর্মা)। এদের
সকলই বিশ্বমানবের অকল্যাণে পর্য্যবসিত হয়( ক্ষরায়)। তাই এই মোঘকর্মা মানব জাতির
ধবংস করতে হলে যারা সত্যজ্ঞানে জ্ঞানী তাঁদেরকে এগিয়ে আসতে হবে সঙ্ঘবদ্ধভাবে। জয়
বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment