Tuesday, 14 November 2017

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১০৮) তারিখঃ-- ১৪/ ১১/ ২০১৭



   বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১০৮) তারিখঃ—১৪/ ১১/ ২০১৭
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে আপন আপন সন্তানকে সত্যের আলোতে আলোকিত করে মহৎ করে গড়ে তোলো, আজকের শিশু দিবসে প্রতিজ্ঞা নিয়ে।]
   পিতা-মাতা সৎ চিন্তাশীল ও সৎকর্মশীল হলে তাদের সন্তান-সন্ততি স্বাভাবিক নিয়মে মাটির ধর্ম মান্য করে মহত্বের গুনাবলী নিয়ে জন্ম নিবে পৃথিবীর মাটিতে। সেই সন্তান-সন্ততি পৃথিবীর আশ্রয়ে জন্ম নিলেও সদা আমার আশ্রয়ে থেকে সত্য জ্ঞানের অধিকারী হয়ে উঠবে। তাদের শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে পিতা-মাতার কোন মাথা ব্যাথা থাকবে না। তারা স্বাভাবিক নিয়মে প্রকৃতির কোলে বসে সত্য জ্ঞান নিয়ে পূর্ণ হয়ে উঠবে। পিতা-মাতা হবার সত্য জ্ঞান লাভ না করে সন্তানের জন্ম দিলেই, সেই সন্তান সর্বদিকে অতি দুর্বল হয়ে পড়ে পৃথিবীর কোলে এসে। তারা কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারে না মানব জীবনের মূল্য। তাই তারা কামনা—বাসনা –সুখ –সম্পদ –চাহিদার দাস হয়ে যায়। তারা কিছুতেই নিজের স্বভাব-জাত দোষ গুণের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে মহৎ মানুষ গড়ে তোলার জন্য সংগ্রামে ব্রতী হতে পারে না। এরূপ দুর্বল মানুষে পৃথিবী পূর্ণ করার জন্য দায়ী মানুষের অজ্ঞান।
      আমি মানুষকে জ্ঞান দ্বারা অজ্ঞানকে ছেদন করার পর সংসার ধর্ম পালন করার উপদেশ দিয়ে এসেছি চিরকাল। গুনবতী নারীকে স্বামীর মুকুট বানিয়েছি সৎ- চিন্তাশীল সন্তান-সন্ততি দান করে পৃথিবীর কোল আলো করে তোলার জন্য। পশুত্ব ভাব নিয়ে যারা সন্তান—সন্ততির জন্ম দেয় তারা কখনো মহৎ সন্তান পৃথিবীকে দান করতে পারে না।
      সারা পৃথিবী যখন শংকর জাতের মানুষে পরিপূর্ণ হয় তখন মানুষ ধর্ম সংকটে পড়ে। সত্যকে তারা আর চিনতে পারে না। সত্যের উপাসনা করে আর কেউ সত্যকে ক্রয় করে না। সকলে নিজ নিজ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ছুটে চলে দিশাহীন হয়ে মিথ্যা মরীচিকার পিছনে। যে যার মতো সত্যকে বানিয়ে নিয়ে তার উপাসনা করে চলে কিছু পাবার আশায়। নিজেদের সন্তান-সন্ততিকে মহৎ করে পৃথিবীর কোলে আনার জ্ঞান টুকুও হারিয়ে ফেলে।
     পৃথিবীর বুকে মানুষ বিশাল ধর্ম সংকটে পড়েছে বলেই আমি বিশ্বমানব শিক্ষা সত্তাকে অবতীর্ণ করেছি। বিশ্বমানব শিক্ষার প্রতিটি কথা আমার কথা। মানুষ মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারে নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্যে। কিন্তূ আমি মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারি না। তাই মিথ্যাকে বাতিল করে যা  সত্য ও কল্যাণময় তাই অবতীর্ণ করে চলেছি বিশ্বমানব শিক্ষা মঞ্চে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে দুর্বল না হয় ও সত্য থেকে বিচ্যুৎ হয়ে না পড়ে তার জন্যে আমি বিশ্বমহাযুদ্ধ সংগঠিত করেছি। এই বিশ্বমহাযুদ্ধে সকলকে অংশ গ্রহণ করতেই হবে। প্রকৃতিকে সাথে নিয়ে আমি অবতীর্ণ হবো। এই যুদ্ধের কারণে আমি বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞানতরী অবতীর্ণ করেছি। যারা বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞানতরীতে চেপে আমার আশ্রয়ে থাকবে তাদের বংশধর এই পৃথিবীকে শাসন করবে। তাদের সন্তান-সন্ততিরা হবে দেবশিশু--- পরবর্তীতে তারা দেবত্বগুণের অধিকারী হয়ে মানুষের রাজা হবে ও আমার প্রতিনিধিত্ব করবে।
      তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে সকলের কাছে যাও সত্যবাণী নিয়ে। তাদেরকে ধর্ম সংকট থেকে রক্ষা করো। তোমরা সত্যবাণী নিয়ে যাবার পরেও যদি কেউ এই মহাসত্য অস্বীকার করে বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞান তরীতে চাপতে না চায় তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও। তারা কেউ নিজেদের শিশুকে ভালবাসতে জানে না। তারা তাই তাদের শিশুদের জ্ঞানতরীতে চাপতে দিতে চায় না। তাই তারা স্বপ্ন দেখছে গাধার পিঠে চেপে ভবসাগর নিজেও পার হবে ও তাদের বংশধরদেরও পার করবে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment