বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(১১৪) তারিখঃ- ২০/ ১১/ ২০১৭ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদযজ্ঞ করে নির্মল বুদ্ধির মানুষ হও-- আর জেনে নাও যার অন্তরে সদা শয়তানী বুদ্ধি কাজ করে সে কোনদিন মানুষের মঙ্গল করতে পারেনা।]
একশ্রেণীর মানুষ আছে এই পৃথিবীর বুকে যারা
শয়তানী বুদ্ধি নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে ও সদা সুস্থ পরিবেশকে অশান্ত করে আনন্দ লাভ
করে। এরা শয়তানী বুদ্ধি ছাড়া ভাল বুদ্ধি লাভ করেনা প্রকৃতির নিয়মে। এদের কানে কোন
সদোপদেশ যায় না কারণ তাদের অন্তরের দরজা ঈশ্বর বন্ধ করে রাখেন। এরা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় তাদের শয়তানী বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে। পরিশেষে
এদের ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয় কিন্তু
তাসত্বেও তাদের অন্তরের দরজা খুলেনা ও তাদের বিবেক জাগ্রত হয়না। এরা মানুষের চামড়া
পড়ে থাকলেও মানুষ নয় এরাই হচ্ছে শয়তান- রাক্ষস- অসুর ইত্যাদি নামে খ্যাত হয়ে আসছে
চিরকাল। এরা কখনো মানুষের বন্ধু হতে পারেনা। এদেরকে অন্তর বেদ খুলে জ্ঞানের
রাজত্বে ডাক দিলেও তারা শুনতে পাবেনা। এরাই চিরকাল অবতার, নবি, মহাপুরুষ ও
মহামানবদের বিরুদ্ধে অপবাদ, বদনাম ছড়িয়ে তাদেরকে হেনস্থা করে অবশেষে তাদেরকে উচ্চ
আসনে বসতে সহযোগিতা করে থাকে কিন্তু তারা সেটা অনুভব করতে পারেনা। তারা চিরকাল
শয়তানী বুদ্ধি নিয়ে জন্মায় ও মৃত্যু বরণ করে প্রকৃতির নিয়মে—এই ধরার বুকে জ্ঞানের
বিপ্লব ঘটাবার কাজে সহযোগিতা করে যুগের পরিবর্তন আনার জন্যে ও শয়তান ও মানুষের
মধ্যে পার্থক্য করে দেখাবার জন্যে। এই শয়তানরা না থাকলে মানুষ কখনো নিজেকে জানার
জন্যে সাধনা করতো না ও নিজের গুণের প্রকাশ-বিকাশ ঘটিয়ে দেবত্বে উপনীত হতে পারতো
না। তাই এরা মানুষের প্রকাশ্য দুষমন হয়েও বন্ধু হয়ে থেকে যায় মহামানবদের অন্তরে।
এই সব মহানদের কাছে সবায় মহান এই কথা তাই আমরা শুনতে পাই। এই মহানদের প্রেমই হচ্ছে
প্রকৃত মানব প্রেম। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও
বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment