বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৬/ ০৬/ ২০১৭ স্থানঃ—পাটিয়া*
ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদযজ্ঞ করলেই জীবন কল্যাণের পথে যাবে, জীবন সেই পথে
চললেই শিবের সাথে সাক্ষাৎ হবে, শিবের সাথে জীবনের মিলন হলেই শান্তি আসবে আর শান্তি
এলেই জীবন হয়ে যাবে আনন্দময়।]
মানব জীবনের উদ্দেশ্য বহুজনের কল্যাণসাধন,
ঈশ্বর নামক কোন কাল্পনিক বস্তুর লাভ করা নহে, ইহা ভোগবাদীদের কথা। কল্যাণ – সাধন
কথাটি আমাদের সকলের কাছেই অস্পষ্ট । কল্যাণ কি ? দেহেন্দ্রিয়ের ভোগ্যবস্তুর মাত্রা
বাড়ানোই কি কল্যাণ? বিজ্ঞানের উন্নতির দ্বারা জীবনের সুখ- স্বাচ্ছন্দের গতি বৃদ্ধি
করাই কি কল্যাণ? কল্যাণ অর্থ যাহাই হউক একথা নিশ্চয় যে, জীবনে কল্যাণ আসিলে শান্তি
আসবে। শিব আসলেই আনন্দ আসবে। মানব সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় বিজ্ঞানের উন্নতির
সাথে সাথে দুঃখ ও অশান্তির মাত্রা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মানবের জীবনে শান্তি
আনা ধর্মের একটা বিশেষ কার্য্য। এই কার্য্য যদি বিজ্ঞান সমাধা করতে পারতো, তাহলে
ধর্ম আপনা থেকেই বিজ্ঞানকে সেই দায়িত্ব দিয়ে সরে পড়তো । কিন্তু বর্তমানে দেখা
যাচ্ছে অশান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বিজ্ঞান ধর্মের প্রয়োজন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাই বিজ্ঞানের মঞ্চে থেকেই মানুষকে বেদযজ্ঞ করতে হবে, জীবনকে শিবের সাথে মিলিত করে
শিবময় করতে হবে, শান্তির পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে হবে, জীবনকে দুঃখের হাত থেকে মুক্ত
করে আনন্দময় রূপে দেখতে হবে এবং জীবনকে সৎ- সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় প্রস্ফুটিত
পদ্মরূপে দেখতে হবে। এই পথেই জীবনের উদ্দেশ্য সফল হবে এবং জীবন বহুজনের কল্যাণসাধন
করতে সক্ষম হবে। জয় বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment