বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—২২/ ০৬/ ২০১৭ স্থানঃ—পাটিয়া*
ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করবে নিজের সনাতন ধর্মকে রক্ষা করে তার মহিমা
চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।]
এ বিশ্বে মানব সমাজে বিভিন্ন নামে ধর্ম আছে।
মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্মের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সমস্ত
ধর্মই এক সনাতন ধর্মের থেকেই শাখা –প্রশাখা স্বরূপ বের হয়েছ। এই সনাতন ধর্মে রয়েছে
অফুরন্ত মধু, অনাবিল আনন্দ; কারণ সনাতন ধর্ম মধুব্রহ্মের সঙ্গে ও আনন্দময় ভগবানের
সঙ্গে নিত্যযুক্ত রয়েছে। তাই এই মধুময় সাগর থেকে যত শাখা- প্রশাখায় বের হউক না
কেনো, সেগুলোও মধুময় হয়েই দেখা যায়। এই সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি বেদে। বেদ শব্দের
অর্থ সনাতন জ্ঞানের ভাণ্ডার। ইহা কোন পুরুষকৃত নহে অর্থাৎ, কোন মানুষ রচনা করে নাই। সনাতন ধর্ম যেমন কোন
মানুষ বা দেবতা সৃষ্টি করেন নি, এই ধর্ম অনাদিকাল
ধরে আছে ও থাকবে, তেমনি বেদও অনাদিকাল ধরে আছে ও থাকবে। সনাতন ধর্ম ও বেদ সত্য বলেই এদের নির্মাতা নাই।
যেমন দুই আর দুই-এ চার হয়, ইহা গণিতে সত্য, এই সত্য কেহ তৈরি করেনি। ইহা চিরকালই
ছিল ও আছে। সনাতন ধর্ম ও বেদ সেইরূপ সত্য। সনাতন ধর্মের সাথে বেদযজ্ঞ ওতপ্রোতভাবে
যুক্ত। এই সত্যকে কেউ সৃষ্টি করেনি। বেদযজ্ঞ করলেই মানুষের সনাতন জ্ঞান অর্থাৎ
বেদসূর্য অন্তরে জেগে উঠে, তখনি মানুষ শ্রীভগবানকে আপনজন, প্রিয় ও সর্ব্বভূতের
সুহৃদ বলে জানতে পারেন এবং পরমশান্তি লাভ করেন। জয় বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment