Sunday, 18 June 2017

বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ-- ১৮/ ০৬/ ২০১৭



বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—১৮/ ০৬/ ২০১৭ স্থানঃ—পাটিয়া* ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞভুমি এই ভারতবর্ষে ভারত হয়ে বেদযজ্ঞ করে যাও, তাহলেই মহাভারতের তত্ত্ব নিয়ে তোমরা জেগে উঠবে এই ধর্মক্ষেত্র – কুরুক্ষেত্রে।]
গীতা- জননীর স্থান মহাভারতের মধ্যে—‘ মধ্যে মহাভারতম’। মহাভারত বলতে তিনটি বস্তু বুঝায়। মহাভারত একটি গ্রন্থের নাম, মহাভারত একটি ভূখণ্ডের নাম, মহাভারত সেই ভূখণ্ডের সুপ্রাচীন সংস্কৃতির নাম। প্রায় লক্ষ শ্লোকযুক্ত অষ্টাদশ পর্ব্ব- বিশিষ্ট বিরাট গ্রন্থখানির নাম- মহাভারত। এইরূপ তথ্যবহুল, তত্ত্ববহুল, একাধারে ইতিহাস ও সাহিত্য---- মহাভারতের মত অদ্ভুত গ্রন্থ মানবেতিহাসে আর দ্বিতীয় নাই। এই গ্রন্থখানির মধ্যস্থলে বিশ্বমানবের জীবন দর্শন স্বরূপ গীতার স্থান। এই গীতা- জননী ভারতাত্মা হয়ে তাঁর সন্তানদের ‘ভারত’ নামে ডাক দিয়ে চলেছেন, সমস্ত দুর্বলতা ত্যাগ করে জেগে উঠার জন্য। তাই মহাভারত বলতে মানুষের মহৎ-জীবনের এক সুন্দর ধারাকে বুঝায়। মহাভারত বলতে শুধু গ্রন্থখানিকেই বুঝায় না, একটি বিরাট ভূখণ্ডকেও বুঝায়। তুষারশুভ্র হিমগিরি যার শোভা বাড়ায়, অসীম নীলসমুদ্র যার চরণ ধোয়ায়, সেই বিশাল ভূখণ্ডের নাম—মহাভারত। এই মহাভারত হচ্ছে ভারতের মাটিতে জন্ম- নেওয়া সকল জীবের আত্মাস্বরূপ এক সনাতন জ্যোতিঃ। এই মহাভারত অংশবিশেষ খণ্ডিত, কর্ত্তিত বা অপহৃত নহে। নীল নদ হতে ব্রহ্মদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত বিরাট ভারতের না মহাভারত। ইহার মধ্যস্থলে গীতার স্থান। এই বিশাল দেবভূমি, বিশাল বটবৃক্ষের মত অসংখ্য শাখাপল্লবদর্শন, বিজ্ঞান, সঙ্গীত, কলা, সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি ব্যষ্টি সমষ্টির জীবন নীতি, বর্ণ, আশ্রম, শিক্ষা, ক্রীড়া – জীবনের এমন কোন দিক নেই যে দিকে আর্য্য—ঋষির মনীষা প্রকাশিত হয় নাই—ভারত- সন্তানদের ভারতরূপে গড়ে তোলার জন্য। জয় বেদযজ্ঞের জয়।


No comments:

Post a Comment